এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট রিংভং রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মুহীউদ্দীন আগেরদিন শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে তাকে চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে মারা যান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড রিংভং দরগাহর গেইট থেকে পার্শ্ববর্তী ছগিরশাহকাটা জামে মসজিদে খতিবের দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছিলেন তিনি। পথিমধ্যে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বেপরোয়া গতিতে আসা একটি গাড়ি ম্যাজিক গাড়ি তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ছিটকে গিয়ে পাশের জঙ্গলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।

ঘটনার পর পথচারী লোকজন মাদরাসা সুপারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রীষ্টান হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এদিন সন্ধ্যায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিহত মুহি উদ্দিন উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড রিংভং এলাকার মৃত রশিদ আহমদের ছেলে। সংসারে তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় স্থানীয় জামে মসজিদে তার নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন, মাদরাসা সুপারের মৃত্যুর ঘটনাটি দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবী করেছেন। সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার কিছুক্ষন আগে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মগ ছড়াজুৃম এলাকার শাহাজাহান কোম্পানি মালিকানাধীন চিরিঙ্গামুখী একটি ম্যজিক গাড়ি যাত্রীশুণ্য অবস্থায় মালুমঘাট বাজারে দাড়ায়। গাড়িটির চালক স্থানীয় মিঠাছড়ি গ্রামের রুকন উদ্দিন পান আনতে তার হেলপার জামাল উদ্দিনকে দোকানে পাঠায়।

ওইসময় হেলপার পান নিয়ে ফিরে না আসতেই চালক রুকন উদ্দিন যাত্রীশুণ্য ম্যাজিক গাড়িটি দ্রুতবেগে চলিয়ে নিয়ে যায়। এরপর মাদরাসা সুপারকে ধাক্কা দেয়া হয়।

অপরদিকে প্রত্যক্ষদর্শী অনেকে জানান, মহাসড়কের পাশদিয়ে সুপার মুহিউদ্দিন হেঁটে যাচ্ছিলেন। ওইসময় দ্রুতগতিতে আসা যাত্রীশুণ্য ম্যাজিক গাড়িটি চলাচল পথে এসে তাকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তিনি ছিটকে মহাসড়ক থেকে আনুমানিক ২০ ফুট দুরে গিয়ে পড়ে যান।

মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ এসআই মো. রুহুল আমিন বলেন, মাদরাসা সুপারের মৃত্যুর ঘটনায় কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই পরিবারের। সেই ধরণের লিখিত দেয়ায় মৃতদেহটি বিনা ময়নাতদন্তে দাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।