শাহেদ মিজান, সিবিএন:
কক্সবাজার শহরের মোটেল রোডের শৈবাল হোটেলে সামনে প্রাইভেটকার ও টমটমের মুখোমুখী সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ছয় জন। হতাহতদের মধ্যে ছয়জনই টমটমের যাত্রী ও চালক। ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা আবদুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, পটিয়ার চরপাথরঘাটার আহমদ মিয়ার পুত্র শাহ আলম (৫০) ও পটিয়া কুসুমপুরা এলাকার মনা মিয়ার পুত্র আব্দুস সালাম (৬০)।
আহতরা হলেন, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার বাসিন্দা জালাল আহামদের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (৪০), একই এলাকার মো. জাফরের পুত্র হেলাল উদ্দীন (৩৭) ও আবুল কাসেমের পুত্র আলমগীর (৩৫), টমটম চালক কক্সবাজার সদরের আবু বক্করের পুত্র এনামুল হক (১৬)। এবং প্রাইভেট কারে থাকা হারুনুর রশিদ (৩০)। অন্য একজনের পরিচয় জানা যায়নি।
নিহত শাহ আলমের বন্ধু মো. আলী জানান, তারা খুব সকালে সৈকত দর্শনে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে যান। সেখান থেকে তারা দু’টি টমটমে করে শহরে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে শৈবাল হোটেলের সামনে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারের সাথে একটি টমটমের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই শাহ আলম এবং হাসপাতাল আনার পর আবদুস সালাম মারা যান । গুরুতর আহত হন টমটমের চালক যাত্রীরা।
মো. আলী আরো জানান, তারা কক্সবাজার ট্রাক, মিনি ট্রাক (পিকআপ) শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে ভোট দিতে কক্সবাজার এসেছিলেন।
ফায়াস সার্ভিসের দলনেতা আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করি। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহতদের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।