হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী:
স্বপ্ন ছিল রামুর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে- এগার ইউনিয়নের চির অবহেলিত ছাত্রনেতাদের মূখে হাসি ফুটানো। একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হলে! আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকার পালে জোরেশোরে হাওয়া লাগানো। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও রামুর সদা হাস্যেজ্জ্বল, পরিচ্ছন্ন এবং ত্যাগী ছাত্র নেতা- হোসাইন মাহমুদ রিফাত। এর আগেই তাঁকে চলে যেতে হয়েছে না ফেরার দেশে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ভোর চারটা নাগাদ রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের শ্রীকূল গ্রামের নিজ বাড়িতে ঘুম থেকে জেগে হঠাৎ বমি করেন রিফাত। এর পরই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ২৬ বছর। রিফাতের বাবার নাম সৈয়দ আহমদ। তিনি আমেরিকা প্রবাসী। মা খতিজা বেগম এবং একমাত্র ছোট ভাই হাসান মাহমুদ আরফাতও বাবার সঙ্গে বর্তমানে আমেরিকায় আছেন।

রিফাতের মামা আমিরুল কবির রাকিব বলেন, মৃত্যুর খবর শুনে রিফাতের মা আমেরিকা থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তিনি এসে মৃতদেহ দেখার পরই জানাজা এবং দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাঁর মৃতদেহ বাড়ি থেকে বিকেলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে।

এদিকে হোসাইন মাহমুদ রিফাতের মৃত্যুতে কক্সবাজারে ছাত্র সমাজের মাঝে বিশাল শূন্যতা এবং শোকাবহ আবহ তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ সর্বত্র শোকের মাতম চলছে।

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তানিম বলেন, রিফাত মেধাবী, ত্যাগী, নম্র, ভদ্র ও নিষ্ঠবান ছাত্র নেতা। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে রামু উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ার জোর সম্ভাবনা আছে। সেই কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে অবশ্যই সে স্থান পেত। অথচ তার আগে সে চিরবিদায় নিল। তাঁর শূণ্যতা পূরণ হতে সময় লাগবে। জেলা ছাত্রলীগ পরিবারের পক্ষ থেকে- তাঁর এই অকাল প্রয়ানে অামরা গভীর ভাবে শোকাহত। মহান অাল্লাহ তাঁকে যেন জান্নাতবাসী করেন-এই কামনা করছি।