এডভোকেট প্রতিভা দাশ

সময়টা – ২০১৬-আগষ্ট মাস, গল্পের প্রধান চরিত্র কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লে: কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমদ। ২০১৭ সালের আগষ্ট মাসের ১৭ তারিখে গৃহায়ন ও গনপুর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও সচিব মো: শহীদ উল্লা খন্দকার কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লে: কর্র্ণেল ফোরকান আহমদকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। কর্তৃপক্ষের ছিলনা কোন অফিস, রেষ্ট হাউস, গাড়ি এমনকি কোন করনীক। তার পরও তিনি থেমে থাকেননি, কোন রকম খ্ুঁজে বের করেন একটা থাকার জায়গা। যে খানে থাকা সেই খানে অফিস। রাত জেগে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এর সহধরর্মীনি জাকিয়া সোলতানা অফিসের সমস্ত কাগজ পত্র তৈরী করে ফাইল প্রস্তুত করে দিতেন। আর লে: কর্ণেল ফোরকান আহমদ সারাদিন সচিবালয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে একটি কার্যকরি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ দেওয়ার জন্যে এক মন্ত্রণালয় থেকে অন্য মন্ত্রণালয়ে দৌড়ঝাঁপ করতেন।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লে: কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমদের মতে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা অনেক কঠিন। আমাদের আগের প্রজন্ম আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করে দিয়েছেন। আমাদের প্রজন্মের দায়িত্ব অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করা। তিনি আল্লাহর অসীম রহমতে দায়িত্বের পাশাপাশি স্বাধীনতা রক্ষা করার সুযোগ পেয়েছেন। দায়িত্বের সাথে স্বাধীনতা রক্ষাকরাটা ও একটা বড় যুদ্ধ। যুদ্ধে কোন কিছু প্রস্তুত থাকেনা তাই তার এই যুদ্ধে কোন কিছু প্রস্তুত নেই, জনগনই তার একমাত্র শক্তি। তাই জনগনের বিশ^াস,ভরসা,আর ভালবাসা নিয়ে শুণ্য থেকে শুরু করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পথচলা। সর্ব প্রথম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মনোগ্রাম, আস্তে আস্তে অফিস ভবন, জনবল কাঠামো ইত্যাদির উপর জোর দেন। নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রনিত কক্সবাজার শহর ও টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতের উন্নয়ন পরিকল্পনা, যাহা মহাপরিকল্পনা হিসেবে বিদ্যমান। এই মহাপরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে বর্তমানে কক্সবাজর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অগ্রসর হচ্ছে। যদি ও এই মহাপরিকল্পনা বর্তমানে নতুন ভাবে করার পরিকল্পনা হচ্ছে। ২০১৭ সালের আগষ্ট মাসের আজকের এইদিনে কর্তৃপক্ষের বয়স এক বৎসর পূর্ণ হল। এক বৎসরের সাধনার ফসল হিসেবে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লে: কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমদ কক্সবাজার জেলার জনগনকে দিয়েছেন বাংলার ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ উপহার দুর্নীতি মুক্ত ও সহজ সু-শৃংখল সেবামুলক একটি প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার আগে কক্সবাজারের অনেক মানুষ জানতনা ইমারত নির্মান বিধিমালা সম্পর্কে, অবগত ছিলনা ভুমি ব্যবহার ছাড়পত্রের সম্পর্কে যার ফলে যত্রতত্র স্থাপনা এবং পর্যটন শহরকে ঘিঞ্জিপুর্ণ ও বস্তিতে পরিনত করেফেলেছে। কউক প্রতিষ্ঠার পর জনগন অবগত হয়েছে ভুমি ব্যবহার ছাড় পত্রের প্রতি, জেনেগেছে ইমারত নির্মাণ বিধি-মালা আইন সম্পর্কে। মানুষের ভিতর জাগ্রত হয়েছে তাদের ঘুমন্ত বিবেক। যার ফলে মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন পরিকল্পিত নগরায়নের। কউক প্রতিষ্ঠার পরই জনগন যে কোন স্থাপনা তৈরী করার আগে পরিকল্পিত নগরায়ন ও ইমারত নির্মান বিধি-মালাকে প্রধান্য দিচ্ছে। পরিকল্পিত নগরায়ন ও ইমারত নির্মান বিধি-মালা মোতাবেক স্থাপনা শুরু করার ক্ষেত্রে কউক পরিবার জনগনকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। সবুজ পাহাড়ের সমারুহ বিশাল সমুদ্র বেষ্টিত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশের দক্ষিণের দরজা বিশ্বনন্দিত পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আরো আকর্ষণীয় এবং নিরাপদ পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করেন। বলতে গেলে শূণ্য থেকে শুরু করা কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে একটি পরিকল্পিত কক্সবাজার গড়ে তোলার জন্য, যেটি হবে ভবিষ্যতের জন্য বাসযোগ্য একটি আধুনিক পর্যটন নগরী। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এ বিশাল স্বপ্ন পূরণে কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসন,সর্বোপরি কক্সবাজারবাসীর একান্ত আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

এডভোকেট প্রতিভা দাশ, বোর্ড সদস্য, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ