মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন:

অনুজ জসিম আজাদ আমার খুবই প্রিয় একজন। ফেইসবুকের সুবাদে হওয়া পরিচয় পর্বটা নাতিদীর্ঘ হলেও ধরনটা যুগযুগান্তরের মতই। পেশায় সাংবাদিক। তবে আমি তাকে আদর করে কলমসৈনিক বলে ডাকি। এটা আমার ভাল লাগার অভিব্যক্তি। তার লেখার ধরনটা খুবই চমৎকার। বিষয়বস্তুকে বেশ ভাল ভাবেই ফুটিয়ে তুলতে পারে। বানান এবং শব্দের গঠনেও খুব যত্নশীল। চিন্তা-চেতনায় টোটাল প্রগতিধর্মী এবং সাহিত্যরথী একজন ছেলে।

তার চরিত্রের যে দিক গুলো আমার বেশ ভাল লাগে সেগুলো হল সে খুবই লাজুক, ভদ্র, সাহসী এবং সত্য প্রকাশে অকপটচিত্তের অধিকারী সহ যোগ্যদের সম্মান করতে জানার মত বহুবিধ গুনের অধিকারী। সাংগঠনিক কাজে সংগঠিত করায়ও যথেষ্ট পারদর্শী। এজন্য দক্ষ সংগঠকের তকমাটাও তার নামের সাথে বেশ মানানসই।

সম্প্রতি পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের গৌরবের ৭০ এর সফল উদযাপন এবং পালং কলেজ প্রতিষ্ঠাকল্পে একাধিক আলোচনা সভার আয়োজন করে সেটার যথার্থতা প্রমাণ করেছে। সবকিছু ছাড়িয়ে তাকে যদি একজন সাংবাদিক হিসেবে দেখি তাহলে আমার মূল্যায়ণটা যথেষ্ট ইতিবাচক। যে কোন বিষয়ে যে কাউকে নিয়ে লিখতে সাহসের পরিচয় দেয়।

অতি সম্প্রতি মরণনেশা ইয়াবা নিয়ে তার কিছু লেখায় সে সাহসের প্রস্ফুটন দেখা যায়, যেটা অনেক সাংবাদিক বিভিন্ন অজুহাতে এড়িয়ে চলেন। শুনেছি সেই সব লেখার কারনে সংশ্লিষ্ট ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং তাদের দোসররা তার বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য একাট্টা হয়েছেন। কেউ কেউ আবার সেই ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ভাবে ইন্ধন যোগাচ্ছেন। যেটা খুবই দুঃখজনক এবং মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে বড় ধরনের উদ্বেগের কারনও বলা যায়।

মরণনেশা ইয়াবা যে সময় দেশের একটা অন্যতম প্রধান সমস্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও যেখানে ইয়াবার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা বলেছেন সেখানে এসব তথাকথিত সচেতন রাজনীতিবিদদের ভূমিকা সত্যিই ন্যাক্কারজনক। এমনটি হলে ভবিষ্যতে কেউ কি মরণনেশা ইয়াবার বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখবে?

তাই আমাদের উচিত জসিম আজাদ’দের মত কলমসৈনিকদের সাহসী ভূমিকায় যোগান দেওয়া। আমার বিশ্বাস যথার্থ যত্ন পেলে আজকের জসিম আজাদ’রাই আগামী দিনের সাহসী সাংবাদিক এবং কলমসৈনিক হিসেবে সত্যের পক্ষে বিরামহীন ভূমিকা রাখবে। যেটা স্বপ্নের মাদকমুক্ত সমাজ প্রাপ্তীর পক্ষে আমাদের মনে আশা জাগাতে পারে। আর তখনই পাল্টে যেতে পারে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা।

তাই আসুন ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব পরিহার করে বৃহত্তর স্বার্থে জসিম আজাদদের যত্ন নিই, নিরাপত্তা দিই।

লেখক: মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন. ব্যাংকার। সুত্র: Mohammed Jamal Uddin এর ফেইসবুক টাইমলাইন।