এম.এ আজিজ রাসেল:
সাগরে চলছে মাছ ধরার উৎসব। ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রূপালী ইলিশ। এতে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে জেলে ও বোট মালিকরা। প্রতিদিনই পল্টনে আসছে প্রচুর ইলিশ। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। শহরের বাজার গুলোতে ইলিশের ছড়াছড়ি হলেও দাম এখনো চড়া। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কমে যাবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

বড় বাজারে ইলিশ কিনতে আসা রহিম উদ্দিন নামের এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ার খবরে বাজারে ছুটে আসি। এবার বুঝি দাম কমেছে। বেশি করে কিনে ফ্রিজ ভর্তি করা যাবে। কিন্তু বাজারে এসে দাম শুনে চুপসে যায়। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লেও বাজারে দাম চড়াই আছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ এখনো বাড়েনি। এ বছরের জুলাই থেকেই বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরা পড়ছে। দাম এখনো বাড়তি। কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন পথের দু’পাশেই মাছের বাজার। ইলিশ নিয়ে বসে আছেন ক্রেতারা। বড় আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে হালি ১৫০০ হাজার থেকে ২০০০ হাজার টাকা। মাঝারি সাইজের ইলিশ কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ও ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। বাহারছড়া বাজারে রুমি আক্তার নামে এক ক্রেতা বিক্রেতার মুখে চড়া দাম শুনে বললেন, ‘এখনো এত দাম! দুই সপ্তাহ আগেও যে দামে কিনেছেন, এখনো তাই আছে। মৌসুমটা ইলিশের হলেও দাম কমছে না। বড় বাজারের মাছ বিক্রেতা সরওয়ার জানান, ইলিশ ধরা পড়ছে প্রচুর। দাম আগের মতোই। আশা করি আগামী সপ্তাহে কমে যাবে দাম। কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ ও পাইকারী মৎস্য বাজারের ব্যবস্থাপক মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে দাম কমতে পারে। ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও তা বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। তাই এখানে দাম একটু বেশি। কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন অনেক ফিশিংট্রলার সাগর থেকে মাছ ধরে পল্টনে আসছে। বেশির ভাগ ট্রলার ইলিশে ভরপুর। এসব ইলিশ দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। একশ্রেণীর দালাল চক্রের কারণে বাজারে ইলিশের দাম কমছে না।

কক্সবাজার মৎস্য কর্মকর্তা অমিতোষ বলেন, ইলিশ রপ্তানি করা যায় কি না, সে ব্যাপারে ভাববে সরকার। ইলিশের প্রাচুর্য নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর।

গত বছরও প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছিল। সে ইলিশের স্বাদ পেয়েছিল ধনী-গরিব সবাই। উৎপাদন বাড়লে গত বছরের মতো এবারও হাতের নাগালে হয়তো পাওয়া যাবে সম্প্রতি ভৌগোলিক নির্দেশক পাওয়া রূপালি ইলিশ।