যুগান্তর :

আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হক আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনীতি ঠিকাদার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও আরাফাত রহমান কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে তিনি এমন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘বগুড়ার তুফানের নারী লাঞ্ছনা আর খায়রুল হকের গণতন্ত্রের লাঞ্ছনা একেবারে সমপর্যায়ের। উনি গণতন্ত্র হত্যা করার সুযোগ করে দিয়েছেন, উনি ভোটারবিহীন সরকারের নির্বাচনের সুযোগ করে দিয়েছেন মাত্র ১০ লাখ টাকা ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের চাকুরির জন্য। তিনি নিজের আত্মা আওয়ামী লীগের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি আওয়ামী রাজনীতির ঠিকাদার।’

ক্ষমতাসীনরা ‘জোর-জবরদস্তি’ করে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় পাল্টানোর চেষ্টা করছে এমন অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘যদি রিভিউ করতে হয়, তারও একটা আইনগত প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু গায়ের জোরে তারা (ক্ষমতাসীন) প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আজে-বাজে কথা-বার্তা বলছেন, অন্যায় কথা-বার্তা বলছেন। মনে হচ্ছে জোর করে তার (প্রধান বিচারপতি) কাছ থেকে রায় পাল্টে দিতে চাচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, এটা হবে না, এটা হতে পারে না। এদেশের মানুষ এটা আর কোনোদিন হতে দেবে না।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

সংগঠনের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব ‍উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক এম এ মালেক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী, এস এম জিলানী, রফিক হাওলাদার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে দোয়া মাহফিলকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এসময় কয়েকজন কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে দাবি করে এর তীব্র নিন্দা জানান রিজভী।