খালেদ হোসেন টাপু, রামু:

১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনসহ রাজনৈতিক, সামাজিক, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমুহ বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

এমপি কমলের নেতৃত্বে রামুতে বৃহত্তম মেজবানের আয়োজনঃ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রামুতে আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি’র নেতৃত্বে এবারও বৃহত্তম মেজবানের আয়োজন করা হচ্ছে। জাতীয় শোক দিবস পালনের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আগামী ১৭ আগস্ট রামু স্টেডিয়ামে এ বৃহত্তম মেজবানের আয়োজন করা হবে।

জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচী বাস্তবায়নে রামু উপজেলার আওয়ামীলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতীয় শোক দিবসের ২ দিনের কর্মসুচী বাস্তবায়নে পৃথক উদযাপন পরিষদ গঠন করা হয়েছে। এদের মধ্যে মেজবান বাস্তবায়নে আলহাজ¦ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি কে চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলমকে মহাসচিব করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচী বাস্তবায়নে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জাফর আলম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবসের কর্মসুচী সফল করতে রামু উপজেলাস্থ আওয়ামী পরিবারের বিভিন্ন সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠন প্রস্তুতি সভার আয়োজন করছে।

রামুতে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন কমিটির মহাসচিব উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলম জানান, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমলের নেতৃত্বে বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও রামুতে ২দিন ব্যাপী কর্মসুচী গ্রহন করা হয়েছে। কর্মসুচীর মধ্যে ১৫ আগস্ট ভোরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ভাবে উত্তোলন, কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারন, জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, কোরআন খানি, মিলাদ মাহফিল, শোক র‌্যালী ও আলোচনা সভা। ১৭ আগস্ট রামু স্টেডিয়ামে বৃহত্তম পরিসরে মেজবানের আয়োজন করা হয়েছে। সকল কর্মসুচী বাস্তবায়নে পৃথক ভাবে উপ কমিটিও গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি সকলের প্রতি শোক দিবসের কর্মসুচীতে অংশ গ্রহনের আহ্বান জানান।

রামু উপজেলা পরিষদ ও রামু উপজেলা প্রশাসন :

রামু উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধা-সরকারি, সায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বে-সরকারি ভবনগুলিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ, সকল সরকারি ও বেসকারি কর্মকর্তা/ কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সকল শ্রেণীর পেশার জনগণের অংশগ্রহনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে একটি শোক র‌্যালী প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, সকল মসজিদে মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল এবং মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাতে প্রার্থনা, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গনশিক্ষা কেন্দ্রে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল, রচনা প্রতিযোগিতা, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা ও চিত্রাংকনসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপরে প্রামাণ্য চিত্রের প্রদর্শন ইত্যাদি কর্মসূচি নেয়া হয়।

এ উপলক্ষে রবিবার (৬ আগষ্ট) উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শাহজাহান আলির সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রামু উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম।

রামু উপজেলা যুবলীগ :

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রামু উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১৫ আগষ্ট সকালে বাইপাসস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরন ও কালো পতাকা উত্তোলন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, কোরআন খানি, মিলাদ মাহফিলসহ ইত্যাদি। রাম্ ুউপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলম ও সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়–য়া জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এছাড়া ১১টি ইউনিয়নে যুবলীগ নেতৃবৃন্দ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদৎবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সবাইকে যুবলীগের গৃহীত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।

এদিকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড রামু উপজেলা শাখা, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, তাঁতীলীগ, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদসহ সহযোগী সংগঠন সমূহ পৃথকভাবে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।