লাইফস্টাইল ডেস্ক:
আমাদের রক্ত থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে লিভার। যখন শরীরের সুগারের মাত্রা কমে যায় তখন সংরক্ষিত চিনিকে (সুগার) ব্যবহার উপযোগী করে তোলে। পিত্ত রস উৎপন্ন করে যা চর্বি হজমের জন্য প্রয়োজনীয়। হিমোগ্লোবিন এর পাশাপাশি ইনসুলিন এবং অন্যান্য হরমোন ভাঙতে সাহায্য করে। পুরাতন লাল রক্ত কণিকাকে ধ্বংস করে। শরীরের এতসব গুরুত্বপূর্ণ কাজের সাথে জড়িত বলেই লিভারের রোগ হওয়ার প্রবণতাও বেশি থাকে। কিছু খাবার লিভারের কাজের উন্নতিতে সাহায্য করে।

টমেটোতেও প্রচুর পরিমাণে গ্লুটাথায়ন থাকে যা একটি চমৎকার ডিটক্সিফায়ার। এছাড়াও টমেটোতে লাইকোপিন থাকে বলে ব্রেস্ট ক্যান্সার, স্কিন ক্যান্সার ও ফুসফুসের ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দেয়।

গাজর গ্লুটাথায়ন নামক প্রোটিনে সমৃদ্ধ যা লিভারকে ডিটক্সিফাই হতে সাহায্য করে। বীট ও গাজর উভয়টিতেই উচ্চ মাত্রার উদ্ভিজ ফ্লাভোনয়েড এবং বিটা ক্যারোটিন থাকে। বীট ও গাজর খাওয়া যকৃতের কাজের উন্নতিতে সাহায্য করে।

বাঁধাকপির গ্লুকোসাইনোলেটস আইসোথায়োসায়ানেটস তৈরিতে সাহায্য করে। যা লিভারের টক্সিন বের হয়ে যেতে সাহায্য করে। বাঁধাকপিতে ক্লোরোফিল থাকে যা লিভারকে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে।

কাঁচা পালংশাক গ্লুটাথায়নের বড় উৎস যা লিভারের এনজাইমকে উদ্দীপিত করে। সবুজ শাকে নির্দিষ্ট কিছু ক্লোরোফিল থাকে যা বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করে নেয়ার ক্ষমতা রাখে।

লেবুতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি থাকে যা যকৃতকে উদ্দীপিত হতে সাহায্য করে এবং বিষাক্ত পদার্থকে সংশ্লেষিত হতে সাহায্য করে।

লিভার পরিষ্কার করার উপাদান গ্লুটাথায়নের আরেকটি উৎস হচ্ছে আঙ্গুর। এতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা লিভারের এনজাইমের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে এবং লিভারকে প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার হওয়ার প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধি করে।

আপেলে উচ্চ মাত্রার পেকটিন ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান ও থাকে, যা পরিপাক নালী হতে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। লিভার পরিষ্কার হওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ হতে সাহায্য করে আপেল।

গ্লুটাথায়ন, ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড এবং এমাইনো এসিড আরজিনিন এর ভালো উৎস হচ্ছে আখরোট। এগুলো লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে অ্যামোনিয়া দূর করতে।

লিভারকে ডিটক্স হতে সাহায্য করে হলুদ। ডায়াটারি কার্সিনোজেনকে বের করে দেয়ার জন্য লিভারের এনজাইমকে সাহায্য করে হলুদ।