এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে সংঘবদ্ধ চক্রের ধারাবাহিক অত্যাচার ও নির্যাতনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খেয়াঘাটের ইজারদার। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনাধীন চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের দুটি খেয়াঘাট ১৪২৪ বাংলা সনের জন্য সরকারিভাবে ইজারা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করলেও অভিযুক্ত চক্রের অত্যাচারের কারনে সরকারি রাজস্ব আদায় করতে পারছেনা ভুক্তভোগী ইজারাদার। এ অবস্থায় অনেকটা জিন্মিদশায় খেয়াঘাট রক্ষনাবেক্ষন করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগে বদরখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা জাকের হোসেনের ছেলে জিয়াউল হোসেন জানান, ১৪২৪ বাংলা সনের জন্য জেলা প্রশাসনের অধীন চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া-উজানটিয়া লঞ্চঘাট নামক খেয়াঘাটটি তিনি ৮৪ হাজার ৬৬৫ টাকায় সর্বোচ্চ ডাককারী হিসেবে ইজারাদার বিবেচিত হন। একই ভাবে ছরওয়ার উদ্দিন ৬৫ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ ডাককারী হিসেবে উপজেলার বদরখালী করিয়ারদিয়া ফেরীঘাট নামক খেয়াঘাটটি ইজারা প্রাপ্ত হন। চলতিবছরের ১২ এপ্রিল কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) কাজী আবদুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদেরকে খেয়াঘাট দুটির দখল হস্তান্তর করেন।

ভুক্তভোগী ইজারাদার জিয়াউল হোসেন ও ছরওয়ার উদ্দিন জানান, খেয়াঘাট দুটি পাশাপাশি হওয়ায় নিজেদের সুবিধার্থে তাঁরা সমন্বয় করে প্রজ্ঞাপন প্রাপ্তির পর থেকে কাজ করে আসছিলেন। তাদের অভিযোগ, খেয়াঘাটের কাজ শুরু থেকে স্থানীয় একটি চক্র তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দিতে শুরু করে। এমনকি ঘাট রাখতে গেলে তাদেরকে নিয়মিত চাঁদা দিতে হবে এমন হুমকি দেয়। এভাবে গত পাঁচমাস ধরে স্থানীয় বদরখালী ইউনিয়নের উত্তর নুতনঘোনা ১নং ব্লকের বাসিন্দা জাফর আলমের ছেলে আবদুর রহিম বদ, নুর আহমদের ছেলে আলী আকবর, মো.হোসেনের ছেলে নুরুল কবির, কামাল হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম ও নুর আহমদের ছেলে কালা মিয়াসহ তাদের সহযোগিরা মিলে প্রতিনিয়ম হামলা করছে খেয়াঘাটে। তাঁরা ইজারাদার ও ঘাটের মাঝিদের জিন্মি করে নৌকা গুলো উঠিয়ে নিচ্ছে। তাদের অব্যাহত তান্ডবের কারনে সরকারি রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দুই ইজারাদার। পাশাপাশি প্রতিনিয়ন হুমকির কারনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী দুই ইজারাদার।

এদিকে খেয়াঘাট থেকে ইজারাদারকে উচ্ছেদ করতে অভিযুক্ত চক্রের সদস্য কালা মিয়া বাদি হয়ে ইতোমধ্যে ইজারাদার জিয়াউল হোসেনকে ১নম্বর করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে চকরিয়া থানায় একটি জিআর মামলা (৩৪৫/১৭) দায়ের করেছেন। বর্তমানে মামলাটি বদরখালী পুলিশের আইসি মাহাবুর রহমান তদন্ত করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় দুই ইজারাদার সরকারি খেয়াঘাট থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।