সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) :

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে ক্ষুদ্রঋনের নামে সেবামুলক কার্যক্রমের আঁড়ালে ঝুঁকে পড়ছে মহাজনী ব্যবসায়। গুটি কয়েক সমিতি সেবামুলক কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দিয়ে ক্রেডিট প্রোগ্রাম চালালেও বাকীরা অনেক পিছিয়ে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের তালিকাভুক্ত অধিকাংশের কোন কার্যক্রম নেই। এখন নিজেদের সাইনবোর্ড-পাশবই প্রধান সম্বল। যিনি পরিচালক তিনি মালিক। তালিকভুক্ত কয়েকটি ছাড়া অধিকাংশই অস্থিত্বহীন। যেগুলো সচল রয়েছে এদের অধিকাংশ মহাজনী ব্যবসাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। কোথাও সাইনবোর্ডও নেই, অফিস নেই এমন ক্ষুদ্রঋনের বেসরকারী ব্যাংকও রয়েছে খুটাখালীতে। তবে খোঁজ করেও তাদের অস্থিত্ব পাওয়া কঠিন হলেও উপজেলা প্রশাসনের তালিকায় নাম রয়েছে। অনেকে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন কোন মার্কেট কিংবা দোকানে। তালিকা অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি কোন সেমিনারে উপস্থিতি তাদের প্রধান লক্ষ্য। তবে পুরোদমে সক্রিয় রয়েছে এমন ক্ষুদ্রঋনের ব্যাংক রয়েছে অন্তত ১০/১৫টি। তাদের মধ্যে রাইজিংকক্স, উপমা,অংগন,টিআইএফ নামের ক্ষুদ্রঋণদান সমিতি ইতিমধ্যে লাপাত্তা হয়েছে। গুটিয়ে নিয়েছে তাদের কার্যক্রম। এ ৪টি সমিতির বিরুদ্বে প্রায় কোটি টাকার আতœসাতের অভিযোগ রয়েছে।

খোজঁ খবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলা সমবায় অফিসের মাধ্যমে নামেমাত্র অনুমোদন নিয়ে অনেক ক্ষুদ্রঋণদান সমিতি নিবন্ধিত হয়। তবে নিবন্ধিত সমিতির মধ্যে সুনামের সাথে কাজ করছে এমন সমিতির সংখ্যাও কম নয়। যার ফলে সাইনবোর্ড সর্বস্ব হয়ে পড়েছে নিবন্ধিত অধিকাংশ সমিতির কার্যক্রম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতারনার শিকার বেশ কজন গ্রাহক জানান, একটি ক্রেডিড প্রোগ্রাম ছাড়া এসব ভুঁইফোড় সমিতিতে যে সব প্রকল্প রয়েছে তা সেবার নামে ধোকাবাজি। সঞ্চয়-ঋণদান-এফডিআর এসব তাদের মানুষ ঠকানোর ফাঁদ।

খুটাখালীতে খুব সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে এমন সমিতির কজন পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি নামধারী সমিতি গ্রাহকের টাকা আতœসাত করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের মধ্যে টিআইএফ,অংগন, রাইজিংকক্স, উপমাসহ একাধিক ঋণদান সমিতি রয়েছে। তারা যত তাড়াতাড়ি মার্কেটে সুনাম কুড়িয়েছিল তার চেয়ে বেশী প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে গ্রাহকদের ঠকিয়েছেন। তাদের বিরুদ্বে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে তারা দাবী করেন।

চকরিয়া উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা এম এ মান্নান বলেন, নিবন্ধিত কোন সমিতির বিরুদ্বে প্রতারনা ও দূর্নীতির অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।