কামাল শিশির, রামু (কক্সবাজার) :

কক্সবাজার জেলার কৃষি প্রধান এলাকা ঈদগড়ের কৃষকরা পান চাষ করে কৃষি ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। ঈদগড়ের পান এখন দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানী হচ্ছে। খুবই সুমিষ্ট এলাকার পান। এলাকায় ও অন্যান্য জায়গায় খুবই সুনাম রয়েছে ঈদগড়ের পানের। পান চাষ করে এলাকার মানুষ নিজেদেরকে প্রকৃত স্বাবলম্বি হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে। হত দরিদ্র শত শত মানুষ পান চাষ ও ব্যবসা করে মহাসুখে দিন কাটাচ্ছেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদগড়ের হাসনাকাটা, বড়বিল, কাটা জঙ্গল, বউঘাট, সেঞ্চুরি, বড়ইরচর, ছগিরাকাটা, পানিস্যাঘোনা, করলিয়ামুরা, তৈলখলা, চাইল্যাতলি ও কোদালিয়াকাটাসহ আরো বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হারে পান চাষ হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এলাকার আবাদযোগ্য জমির এক তৃতীয়াংশ জায়গা জুড়েই পান চাষ করা হয়। খড়-খুটো আর বাঁশ-বেতের মাধ্যমে পুরনো কায়দায় নির্মিত এসব পানের বরজ হঠাৎ দেখলে পথচারী কিংবা দর্শনার্থীদের তাক লেগে যায়। উৎপাদিত পান বিক্রির জন্য এলাকায় প্রতিদিন ছোট-বড় পানের হাটও জমে উঠে। আর এসব পান কিনতে আসেন বিভিন্ন এলাকার পাইকার ও মহাজনরা। বর্তমানে পান চাষ অধিক লাভ জনক হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন রকম রোগ-বালাই ও প্রতিকূলতা কমে আসায় অন্যান্য ফসলের তুলনায় পান চাষ এখন অধিক লাভ ও সুবিধাজনক। স্থানীয় পান ব্যবসায়ী ও চাষী মোঃ হারুন জানান, রোগ-বালাইয়ের কারণ উদঘাটন ও নিরসনের জন্য কারো কাছ থেকে কোন সাহায্য-সহযোগিতা ও পরামর্শ পান চাষীরা পান না। এর পরও বর্তমানে এলাকায় ব্যাপক পান চাষ হচ্ছে এবং পানগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও চাষীরা অধিক লাভবানও হচ্ছে। ফলে দিনদিন এলাকায় পান চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, আবাদী ভূমির এখন অধিকাংশই পান চাষ হচ্ছে। এলাকার মানুষের কাছে পান চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং চাষীরা চাইলে পরামর্শ দেওয়া হবে।