আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইয়েমেন উপকূলে নৌকা ডুবির ঘটনায় ৫০ শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ওই শরণার্থীরা সোমালিয়া এবং ইথিওপিয়ার নাগরিক। ইয়েমেন উপকূলে এক পাচারকারী জোর করে ওই শরণার্থীদের নৌকায় উঠিয়েছিলেন। পরে দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে বহু শরণার্থী প্রাণ হারান। ওই দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হয়েছেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা বুধবার ওই দুর্ঘটনাকে হতাশাজনক এবং অমানবিক বলে উল্লেখ করেছে।

নিয়মমাফিক অভিযানের সময় ইয়েমেনে সাবওয়া বীচে অভিবাসী এবং শরণার্থীদের একটি গণকবর খুঁজে পেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অর্গ্যানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) কর্মীরা।

সংস্থাটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অগভীর ওই কবর থেকে ২৯ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। যারা বেঁচে ছিল তারাই মৃতদেহগুলোকে কবর দিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আইওএম জানিয়েছে, নৌকা ডুবির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২২ জন নিখোঁজ রয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত নৌকাটির মধ্যে যে আরোহীরা ছিলেন তাদের বয়স ১৬য়ের মধ্যে।

ইয়েমেনে আইওএমের মিশন প্রধান লরেন্ট দে বোয়েক জানিয়েছেন, ইয়েমেনের উপকূল দিয়েই হাজার হাজার শরণার্থী প্রতি বছর গালফভুক্ত তেল সমৃদ্ধ বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমায়।

তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়ারা আমাদের জানিয়েছেন পাচারকারী এক ব্যক্তি বুধবার সকালে জোর করে একটি ছোট নৌকায় ১২০ জন শরণার্থীকে উঠিয়েছিল। ইতোমধ্যেই ওই পাচারকারী সোমালিয়ায় পৌঁছে গেছে। ওই একই রুট ব্যবহার করে সে এর আগেও শরণার্থীদেরও ইয়েমেনে পাঠিয়েছে। এখনও সে তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শরণার্থীরা।