অনলাইন ডেস্ক:
অনার কিলিংয়ের নামে ফের ভাইয়ের হাতে খুন হলেন বোন আর তার হবু স্বামী। আর ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের মুলতান হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে।

পরিবারের অসম্মতি থাকায় নিজেরাই আদালতে বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে যাচ্ছিলেন এক প্রেমিক যুগল। কিন্তু বিয়ে করা আর হল না তাদের ফিরতে হল লাশ হয়ে। আর সেটা ঘটল কনের নিজ ভাইয়ের হাতে। তবে এ ঘটনাকে তথাকথিক ‘অনার কিলিং’ বলে তুলে ধরা হচ্ছে।

স্থানীয় পুলিশের প্রধান রাও তারিক জানান, আদালতে গিয়ে বিয়ের করার পরিকল্পনা কোনভাবে জানতে পারেন মেয়েটির ভাই। তিনি আদালতের কাছাকাছি অবস্থান নেন। মেয়েটি তার প্রেমিককে নিয়ে যখন আসেন, তখন সেখানেই গুলি করে হত্যা করা হয় তাদের। ইতোমধ্যে খুনি ভাই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছে।

সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা আশফাক গুজ্জার বলেন, মেয়েটি ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। আর ছেলেটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। এ বিয়ের কাজ সম্পন্নের জন্য যে আইনজীবী ছিলেন তিনিও আহত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

পাকিস্তানে প্রতিবছর শত শত নারী প্রাণ হারান তাদেরই আত্মীয়ের হাতে। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারগুলোতে এ সমস্যা প্রবলভাবে দেখা দিয়েছে। পরিবারের সম্মানহানীকর কাজ করছে- এমন জেরে হত্যা করা হচ্ছে মেয়েদের।

গত বছরের জুলাই মাসে সোশাল মিডিয়া তারকা কোয়ানদেল বালোচ খুনের ঘটনা এমনই এক উদাহরণ। তার ভাই এ হত্যার কথা স্বীকার করে।

সম্মান রক্ষার্থে এ ধরনের খুনের ঘটনাকে ‘অনার কিলিং’ বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এ বছরের অক্টোবরে পাক পার্লামেন্ট এসব অনার কিলারদের ক্ষমা করে দেওয়ার সুযোগ বাতিলের জন্য একটি আইন পাস করে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এই আইনে এখনও কিছু ফাঁক-ফোকর রয়েছে।