বিশেষ প্রতিবেদক
কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর কৈলাশঘোনা এলাকায় মৎস্যঘের থেকে মোঃ এরশাদ নামে এক যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৯ আগষ্ট) সকাল ৯টার দিকে মৎস্যঘেরে কর্মরত অবস্থায় একদল স্বশস্ত্র যুবক তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ওই দিন দুপুরের দিকে পুলিশ খুটাখালীর শিয়াপাড়ার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী গিয়াস উদ্দিনের বাড়ী থেকে তাকে উদ্ধার করে।
আহত এরশাদ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মমতাজ আহমদ প্রকাশ মমতাজ বৈদ্যের ছেলে। সে বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার সারাশরীর মারাত্নক জখম হয়।
ঈদগাঁও পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মোঃ খাইরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে মোঃ এরশাদ নামে যুবককে শিয়াপাড়ার একটি বাড়ী থেকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনায় জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি।
আহতের বরাত দিয়ে স্ত্রী রাবেয়া বছরী জানান, তার স্বামী মৎস্যঘেরে কাজ করছিল। এসময় একদল স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বোটে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় বাঁধা দিতে গিয়ে ভাগিনা আনসারুকেও মারধর করে অপহরণকারীরা।
তিনি জানান, খুটাখালী শিয়াপাড়া এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জুয়াড়ী ও মাদক ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন, আবদুর রশিদ প্রকাশ পেটান, ইমাম শরীফ প্রকাশ টুয়াইয়া, জসিম উদ্দিন, এনাম, বাবুল, ফারুক, মিনহাজ উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, শাহজাহান, ফরিদুল আলম, ইসলামপুরের উত্তর নাপিতখালী এলাকার কামাল হোসেন সরাসরি অপরণের ঘটনায় জড়িত। এর আগে ইসলামপুরের ৫ নং ওয়ার্ডভুক্ত জুমনগর এলাকার সরকারী বনভূমিতে দুইটি আস্তানা গুড়িয়ে দেয়ায় তাদের সাথে বিরোধ-সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনার রেশ ধরে অপহরণ করে ঘরে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে বলে তিনি মনে করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলতক শাস্তি দাবী জানান এলাকাবাসী।
ইসলামপুরের বাসিন্দা এডভোকেট এসএম জসিম উদ্দিন জানান, চিহ্নিত অপরাধীদের আস্তানা গুড়িয়ে দেয়ার প্রতিশোধ নিতে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
তিনি জানান, মাদকের আস্তানা গুড়িয়ে দেয়ার পর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের শিয়াপাড়ার গেইট এলাকায় যাত্রীবাহী বাস তল্লাসী শুরু করে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা। খোঁজতে থাকে জুয়া ও মাদকের আস্তানা বিরোধীদের। এ বিষয়ে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।