ডেস্ক নিউজ:

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাসও যেতে না যেতেই নতুন সম্মেলনের তারিখ ঠিক করা হয়েছে। বর্তমান কমিটির মেয়াদ ২৬ জুলাই শেষ হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে নতুন সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের হাই কামন্ড চিন্তা ভাবনা শুরু করে। আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম এই সংগঠনটির গঠনতন্ত্র অনুসারে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র পূর্বপশ্চিমকে জানিয়েছে, আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নতুন সম্মেলন দেয়া হবে।

এদিকে, নতুন সম্মেলনের তারিখ ঠিক হয়েছে এমন ঘোষণার পর থেকেই ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির নেতারা শীর্ষপদের জন্য নিজ নিজ লবিংয়ে তৎপরতা শুরু করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছেম, ছাত্রলীগের নতুন কমিটির শীর্ষ ৫ পদে আসার দৌঁঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান কমিটির ২ জন সভ-সভাপতি, ২ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ৩ জন সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সম্পাদকীয় পদ থেকে ৪ জন। যারা প্রত্যেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং সবার বয়স গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২৯ এর মধ্যে রয়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, এই ১০ জনের মধ্য থেকে ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আনা হতে পারে। বেশ ক্লিন ইমেজের ছাত্রলীগ নেতাদেরই এবারের কমিটিতে ঠাঁই দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।

এদিকে, সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে গিয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সম্মেলনের সম্ভাব্য দিন ঠিক হওয়ার কথা জানিয়েছেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তবে সহযোগী সংগঠনটির সম্মেলনের দিনটি কবে, তা অনুষ্ঠানে প্রকাশ করেননি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগের দুই নেতাকে (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) কানে কানে টেনটেটিভ টাইম বলে দেওয়া হয়েছে। তারা কাউকে বলবে না। হঠাৎ করে আপনারা শুনতে পাবেন ছাত্রলীগের সম্মেলনের ডেট।

২০১৫ সালের ২৬ জুলাই ছাত্রলীগের সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন দায়িত্ব পান। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গত জুলাই মাসে এই কমিটির মেয়াদ ফুরিয়েছে।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বাধীন কমিটির কয়েকটি ঘটনা নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পরে আওয়ামী লীগ। এ অবস্থায় নতুন করে সম্মেলন দিয়ে কমিটি করার তাগিদ খোদ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন।