আতিকুর রহমান মানিক:

গত এক বছরে ৬ কোটি টাকারও বেশী রাজস্ব আয় করেছে কক্সবাজার অাঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। এর মধ্যে প্রায় ত্রিশ হাজার পাসপোর্ট ডেলিভারী দেয়া হয়েছে। পাসপোর্ট সেবা নির্বিঘ্ন, হয়রানীমুক্ত ও দ্রুততর করতে দালাল ও অনাকাংখিত ব্যক্তিদের পাসপোর্ট অফিসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে শতভাগ সেবায় ফিরেছে অত্র প্রতিষ্ঠান ও বেড়েছে রাজস্ব আয়।

কক্সবাজার অাঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সূত্রে প্রকাশ, পাসপোর্ট সেবায় হয়রানী কমাতে গত একবছর আগে থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়। অফিসের যাবতীয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে অফিস অর্ডার জারীর মাধ্যমে পাসপোর্ট সেবামূলক সব কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। সেবাপ্রার্থীরা জানান, AFIS এবং ডেমো সমস্যা সম্ভাব্য দ্রুত সময়ে সমাধানের ব্যাবস্হা নিচ্ছেন সহকারী পরিচালক।
পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা জানান, পাসপোর্ট প্রাপ্তি সহজলভ্য করার কথা জনগনকে জানানোর জন্য জেলার ৮ উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উপস্হিত আবেদনকারীরা জানান, সেবাপ্রার্থীদের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অফিস প্রধান কর্তৃক ব্রিফিং করা হচ্ছে। পাসপোর্ট আবেদনকরী সাকের উল্লাহ জানান, চাহিবা মাত্রই সহকারী পরিচালক কর্তৃক মূল গেইট থেকে যে কোন তথ্য তাৎক্ষনিক সরবরাহ করা হচ্ছে। অফিস বিল্ডিং দালালমুক্ত করনের জন্য সার্বক্ষনিক মাইকিং করা হচ্ছে ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিটি ফ্লোরের দর্শনীয় পয়েন্টে পিভিসি পোস্টার-লিফলেট লাগানো হয়েছে।
এ ছাড়াও অবাঞ্চিত ও অননুমোদিত ব্যক্তিদের অফিসে প্রবেশরোধে টোকেন সিষ্টেম প্রবর্তন করা হয়েছে। এতে দ্রুততম সময়ে পাসপোর্ট ডেলিভারী দেয়া সম্ভব হচ্ছে। এসব সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহনের জন্য পাসপোর্ট সপ্তাহ-২০১৭ এ জেলার শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুম।
কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুম জানান, ২০১৬ সালের জুন মাসে তিনি যোগদানের পর থেকেই উপরোক্ত সব পদক্ষেপ নিয়ে অত্র অফিসকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেন। ইতিবাচক এসব উদ্যোগের ফলে রাজস্ব আয় ও পাসপোর্ট ডেলিভারী বেড়েছে, হয়রানী কমেছে। তিনি আরো জানান, কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ২০১৬ সালের জুন মাস থেকে গত জুন পর্যন্ত একবছর সময়ে প্রায় ত্রিশ হাজার পাসপোর্ট ডেলিভারী দেয়া হয়েছে। এতে ছয় কোটি টাকারও বেশী রাজস্ব রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়েছে।