ইমাম খাইর, সিবিএন:

কক্সবাজার পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাবেদ মো: কায়সার নোবেল প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: খোরশেদ আলমকে শারীরিক নির্যাতন ও মারধরের প্রতিবাদে অনির্দিষ্ট কালের কর্মবিরতি পালন করছে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বুধবার সকাল থেকে নিজ কর্মস্থলে পৌঁছেও দাপ্তরিক কাজে হাত দেয়নি, চেয়ার নিয়ে অফিসের বাইরে বসে সময় ব্যয় করছে বিক্ষুব্ধ কর্মচারীরা।

সকাল সাড়ে দশটা থেকে পৌরভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয় তারা।

পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী সমিতির সহ-সভাপতি মোরশেদুল আলম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন সচিব রাসেল চৌধুরী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী টিটন দাশ, রনজিত কুমার দে, মো. আবদুল্লাহ, আবু নাঈম মুহাম্মদ খান পাপ্পু, আবদুল মাবুদ রাজন, শেলি সোলতানা, শিপক কান্তি দে, নিরূপম শর্মা প্রমুখ।

এতে বক্তারা বলেন, কাউন্সিলর জাবেদ কায়সার নোবেল বারবার হুমকি-ধমকি, মারধরসহ নানা অপরাধ ঘটিয়ে আসছে। এর আগে প্রকাশ্যে প্রদর্শন করেন। মারধর ও লাঞ্চিত করেন পৌরসভায় কর্মরত অনেককে। জোরপূর্বক কাজ আদায় করতে চান বারবার।

নোবেলের এসব আচরণের সঠিক ও সন্তুষজনক সমাধান না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারী দেন।

মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার পৌর ভবনে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলমকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মারধর করেন বিতর্কিত কাউন্সিলর জাবেদ কায়সার নোবেল।

এর আগে পৌরসভার দুই সচিবসহ একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে পিটিয়েছে পৌরভার ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাবেদ কায়সার নোবেন।

প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, কয়েকদিন আগে কাউন্সিলর নোবেল তার রুমে দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিস সহকারিকে সরিয়ে অন্য আরেকজনকে দেয়ার জন্য বলেন। তার কথা মতো অফিস সহকারি সরিয়ে অন্য আরেকজনও দেয়া হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার সবাই ব্যস্ততার কারণে পুরনো অফিস সহকারি কাউন্সিলরের রুমে চা-নাস্তা নিয়ে যায়। এসময় কাউন্সিলর নোবেল অতর্কিতভাবে আমাকে ডেকে গালিগালাজ করতে থাকে। এমন গালিগালাজের কারণ জানতে চাইলে; এক পর্যায়ে আমাকে থাপ্পড় মারেন।

এবিষয়ে পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহাবুবুর রহমান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। আগেও এমন কান্ড করেছে কাউন্সিলর নোবেল। বর্তমানে তার কারণে সকলেই আতংক রয়েছে। পৌর পরিষদের মিটিং ডেকে দ্রুত বিষয়টি সমাধান করা হবে।