সংবাদদাতা:
টেকনাফ সাবরাং সিকদার পাড়া এলাকায় এক ইয়াবা সিন্ডিকেট চরম বেপরোয়া হয়েছে। মাত্র কয়েক বছর আগে যাদের নুন আনতে পান্তা পুরায় অবস্থায় ছিল তারা আজ কোটি প্রতি। ইয়াবার কালো টাকার গরমে এলাকায় প্রতিনিয়ত ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোপূর্বে এই সিন্ডিকেটের বেশ কয়েকজন পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও জামিনে বের হয়ে আবারো প্রকাশ্যে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। অপর সিন্ডিকেটের সদস্যরা কেউ ধরা পড়ছে না পুলিশের হাতে।
সুত্রে জানায় ওই সিন্ডিকেট সদস্যা হলো স্থানীয় ছব্বির আহাম্মদ, কবির আহাম্মদ, আমির আহাম্মদ, নুর”ল আলম, আব্দু রহিম পুক্কু, রহিম আলী, মোজাহার মিয়া প্রকাশ লম্বা কালু, এজাহার মিয়া প্রকাশ কানপুজ্যা, মোহাম্মদ হার”ন। এদের অনেকে মানব পাচারের সাথে জড়িত ছিল। মানব পাচার থেমে গেলে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে তারা। অনেকের বির”দ্ধে হুন্ডি ব্যবসা করারও অভিযোগ ওঠেছে। ছব্বির আহাম্মদ গ্র”পের নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী রয়েছে। ওই গ্র”পের কিছু সদস্য বর্তমান শাসক দলের আর কিছু বিরোদলীয় ভূমিকায় রয়েছে। বরাবরেই সমঝোতার রাজনীতির কৌশল ব্যবহার করে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আসছে এই সিন্ডিকেট।
এলাকায় প্রতিনিয়ত ত্রাসের রাজত্ব চলানোর পাশাপাশি অসহায় মানুষের জমি দখলেও একটু ক্ষান্ত হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগি জানান, কয়েক বছর আগেও যাদের পরিবারে জেলেদের জাল মেরামত ও এলাকায় শুটকি ব্যবসা না করলে আহারের টাকা জোগার হতো না। এখন তাদের পরিবার শত কোটি টাকার মালিক। এর পরেও তাদের বির”দ্ধে কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয় না এমন প্রশ্ন সচেতন এলাকাবাসীর। যেখানে প্রশাসন ইয়াবা ব্যবসায়ীদেরকে শায়েস্তা করতে হার্ডলাইনে রয়েছে সেখানে ইয়াবা পল্লি খ্যাত এলাকা সাবরাংএ প্রশাসনকে পাত্তা না দিয়ে নানা অপরাধ করে চলছে।
কয়েক মাস আগে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা এলাকায় র‌্যাবের হাতে ৭ লক্ষ ইয়াবা ধরাপড়া চালানটি কবির আহাম্মদ মাঝি পার্টনার বলে এক বিশ্বস্ত সূত্রে দাবী করছে। ওই ইয়াবা বহনকরা ফিশিং বোটের মালিকও কবির মাঝি। সম্প্রতি ওই এলাকায় ঘটে যাওয়া ইয়াবা ব্যবসায়ীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলার আসামিও তারা। এলাকায় তাদের নেতৃতে হচ্ছে না এমন কোন অপরাধ নেই। প্রশাসন যত অপরাধি ধরতে কঠোর হচ্ছে এই এলাকায় দেখা যায় উল্টো চিত্র।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মাইন উদ্দিন খান জানান, ইয়াবা ব্যবসায়ী যত বড় হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। পর্যায়ক্রমে সকল মাদক ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় এনে শায়েস্তা করা হবে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের টিম ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সুখেন্দ্র চন্দ্র সরকার জানান, কোন অপরাধীদের ছাড় দেয়া হবে না। প্রশাসন অপরাধিদেরকে ধরতে সবসম তৎপর রয়েছে।