অনলাইন ডেস্ক :
ভালবেসে ‘রাজপ্রাসাদ’ ছাড়লেন রাজকন্যা। মহল ছেড়ে চলে এলেন ‘ফুটপাথে’।
মালয়েশিয়ার বিজনেস টাইকুন ক্যা পেঙ্গ। মালয়েশিয়ার অন্যতম ধনী ব্যক্তি। তাঁর একমাত্র মেয়ে অ্যাঞ্জেলাইন ফ্রান্সিস খু। জন্মের পর থেকেই বিলাসবহুল জীবন ভোগ করে আসছেন খু। কিন্তু সেই বিষয়-সম্পত্তি, বিলাসিতাকে এক নিমেষে ছেড়ে হাত ধরলেন অতি সাধারণ এক যুবকের। সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটেছে ইংল্যান্ডের ওয়েলস-এ।
মালয়েশিয়ার জন্ম হলেও ২০০১ সালে পড়াশোনার জন্য ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন খু। ২০০৮ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর করার সময়ই জেদিদিহ ফ্রান্সিস নামে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। ফ্রান্সিসের জন্ম ক্যারিবিয়ানে। তিনি পেমব্রোক কলেজের ডেটা বিষয়ক গবেষক। আস্তে আস্তে তাঁদের সম্পর্ক গভীর হয়। ফ্রান্সিসকে ভালবেসে ফেলেন খু।

কিন্তু কোটিপতি বাবা যে এই সম্পর্ক মানবেন না তা বেশ ভাল করেই টের পাচ্ছিলেন খু। তা সত্ত্বেও তাঁদের সম্পর্কের কথা বাবাকে জানান তিনি। মেয়ের উপর ভীষণ রেগে যান খু-র বাবা। সটান না করে দেন এই বিয়েতে। খু-য়ের সামনে দু’টো রাস্তা খোলা ছিল। এক, ফ্রান্সিসকে ভুলে যাওয়া আর দুই, বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁকে বিয়ে করা। কিন্তু বাবার বিরুদ্ধে যাওয়াটা মোটেই সহজ ছিল না। কারণ সেক্ষেত্রে বিসর্জন দিতে হত তাঁর এত দিনের অভ্যাসকে। বিসর্জন দিতে হত তাঁর বিলাসবহুল জীবনকে। খু সেটাই করলেন। ফ্রান্সিসের ভালবাসার সঙ্গে যে আর কোনও সম্পদের তুলনা করা যায় না, সেটা বুঝিয়ে দিলেন। প্রাসাদ, সম্পত্তি সমস্ত ছেড়ে হাত ধরে নিলেন ফ্রান্সিসের।
সম্প্রতি তাঁরা বিয়ে করেছেন। বন্ধুবান্ধব-সহ মোট ৩০ জনকে নিয়ে পেমব্রোক কলেজ ক্যাম্পাসেই এই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। নব দম্পতি বর্তমানে কলেজের লজে থাকেন। পড়াশুনার পাশাপাশি একটা চাকরিও খুঁজছেন খু। -অানন্দবাজার