ইমাম খাইর, সিবিএন:
আজ (৫ আগষ্ট) ‘জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন।

জেলার আট উপজেলায় ১৯৫২১ টি টিকাদান কেন্দ্রে ৪ লাখ ২০ হাজার ১৮১টি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ক্যাম্পেইন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

সকাল ৮ টায় কক্সবাজার পৌর প্রিপ্যারাটরি স্কুল সংলগ্ন প্রভাতী শিশু শিক্ষা নিকেতন কেন্দ্রে কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন।

নির্ধারিত সময়ের পরও কিছু সময় স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের টিকাদান কেন্দ্রে অবস্থান করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পেইনের দিন কোন শিশু ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ পড়লে তাদের জন্য পরদিন নির্ধারিত কয়েকটি স্থানে ওই ক্যাসুল খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকবে।

ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের পরদিন জেলা সদর হাসপাতাল, কক্সবাজার পৌরসভা কার্যালয়, মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র বা সূর্যের হাসি ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে।

কক্সবাজার পৌরসভায় মোট ৭৩টি টিকাদান কেন্দ্রে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী সকল শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

৬ থেকে ১১মাস বয়সী শিশুদের খাওয়ানো হবে ‘নীল’ রঙের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের খাওয়ানো হবে ‘লাল’ রঙের ক্যাপসুল।

সব ধরণের শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। তবে গুরুতর অসুস্থ শিশুকে না খাওয়াটাই ভালো।

এছাড়া চার মাসের মধ্যে যে শিশু ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়েছে তাকে আর খাওয়াতে হবে না।

জেলার বিভিন্ন স্থানে থাকা রোহিঙ্গা শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

সিভিল সার্জন ডাক্তার আবদুস সালাম ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের খবর ছড়িয়ে দিতে গণমাধ্যম, বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমেসহ অভিভাবকদের আন্তরিক হওয়ার আহবান জানান।

সিভিল সার্জন অফিসের দেয়া তথ্য মতে, স্থায়ী ৯ টি, অস্থায়ী ১,৮৪০টি, ভ্রাম্যমান ২৭টি এবং অতিরিক্ত ৭৫টি কেন্দ্রে টিকা খাওয়ানো হবে। দায়িত্বে থাকবেন ২৩৫ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ২১১ জন পরিবার কল্যাণ সহকারী, ৫৪০৭ জন স্বেচ্ছাসেবক। এছাড়া ২১৯ জন তত্ত্বাবধায়ক কাজ করবেন।

স্বাস্থ্য বুলেটিন মতে, ভিটামিন ‘এ’ প্রধানত শিশুদের অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে রক্ষা করে। শুধু তাই নয়, এই ভিটামিন শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল জটিলতা কমায় এবং শিশুর মৃত্যুও ঝুঁকি কমায়।

উল্লেখ্য, জেলায় ৬ থেকে ১১মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৫৩ হাজার ১৬৩ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৩ লাখ ৬৭ হাজার ১৮জন।