পরিকল্পিত নগরায়নে সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা ও তরুন নেতৃত্বকে প্রণোদনা দিতে হবে

প্রকাশ: ৪ আগস্ট, ২০১৭ ১১:২৬

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ।

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা:
পরিবর্তন-চট্টগ্রাম’র আলোচনা সভায় মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, পরিকল্পিত নগরায়নের জন্যে সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা ও তরুন নেতৃত্বকে প্রণোদনা দিতে হবে । চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্তৃত্বেও সমন্বয় ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বেচ্চাসেবী সংগঠন “পরিবর্তন-চট্টগ্রাম” আয়োজিত সুপ্রভাত স্টুডিও হলে “পরিকল্পিত নগরায়নে নাগরিক উদ্যোগ” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী এ কথা বলেন।

আয়োজক সংগঠনের আহবায়ক এহসান আল-কুতুবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মূখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রাম’র সাধারন সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। বিশেষ আলোচক ছিলেন বরেন্য লেখক ও গবেষক অধ্যাপক মাসুম চৌধুরী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাপানের অনারারী কনসাল নুরুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর ও নগর মহিলা লীগের সহ-সভাপতি হাসিনা জাফর।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দৈনিক মানব কন্ঠের ব্যুরো প্রধান মফিজুল ইসলাম চৌধুরী, নগর ছাত্রলীগ’র সহ সভাপতি এম কাইছার উদ্দিন, পলিটেকনিক্যাল ইনষ্টিটিউট’র সাবেক ভিপি নাছির উদ্দিন কুতুবী , কবি বিপ্লব দাশ, পরিবর্তন-চট্টগ্রাম’র সদস্য এবিএম ইকবাল হায়দার প্রমূখ ।

উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের যুগ্ন আহবায়ক রেজাউল করিম রিটন, জাহাঙ্গীর সেলিম, মাসুদুর রশিদ, সিনিয়র সদস্য মুহাম্মদ রিদুয়ান, এম আজগর আলী, রাবেয়া চৌধুরী বকুল, এনাম চৌধুরীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।

সভায় প্রধান অতিথি মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহনে অত্যধিক প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ারও আহবান জানান ।

তিনি লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণের ব্যাপারে আপত্তি তোলে বলেন, চট্টগ্রামের সেবা খাতে নাগরিক চাহিদার উপর গুরুত্ব দিয়েই পরিকল্পনা গ্রহন ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে । চট্টগ্রামের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে বন্দরের বিষয়টি মাথায় রেখে ।

মূখ্য আলোচক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরসহ আঞ্চলিক উন্নয়ন ও সেবা প্রতিষ্ঠান গুলোর আয়কৃত অর্থেও সুষম বন্টন নিশ্চিত করতে হবে। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সংকট নিরসনে অর্থাভাব ও পরিকল্পনা গ্রহনে দীর্ঘকালীন ব্যর্থতা জিঁইয়ে রেখে চট্টগ্রাম বন্দরকে ম্লান করে এই বন্দরের টাকা দিয়ে দেশের অন্য কোথাও অপ্রয়োজনীয়ভাবে বন্দর নির্মাণের অপতৎপরতা এবং বন্দর শহর হিসেবে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের নানা সংকটে ফেলে মহল বিশেষের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে সরকারের উন্নয়ন তরান্বিত করার আহবান জানান পেশাজীবী নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।

আলোচনায় অধ্যাপক মাসুম চৌধুরী বলেন, সঠিক নেতৃত্বের অভাবে চট্টগ্রাম’র উন্নয়ন বাধাঁগ্রস্থ হচ্ছে । উন্নয়নে সরকারের সদিচ্ছা দূর্নীতির কারনে পিছিয়ে পড়ছে । তা থেকে উত্তোরণে আমাদের সচেতন নাগরিক ভূমিকা রাখতে হবে।