শাহেদ মিজান, সিবিএন:
বাংলাদেশে সফররত ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিব ড. ইউসেফ বিন আহমদ আল-ওথাইমিন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে বাংলাদেশের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত একটি বিশাল নেয়ামত বলে অবহিত করেছেন। এই সৈকত বিশেষ রহমত বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি। শুক্রবার সৈকত ঘুরতে গিয়ে তিনি এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এময় তিনি সৈকতের সৌন্দর্য্য দেখে অভিভূত হন।

ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী জানান, ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বেলা পৌনে ৩টার দিকে কক্সবাজার সৈকত ঘুরতে যান। তিনি সৈকতের লাবণী পয়েন্ট অবতরণ করেন এবং সেখানে প্রায় ১৫ মিনিট অবস্থান। এসময় সৈকতের বিশাল জলরাশি, বিস্তীর্ণ বালুচর ও দর্শনার্থীদের আনন্দ উপযাপন উপভোগ করেন।

রায়হান কাজেমী জানান, সমুদ্র সৈকত অবলোকন করে এক প্রতিক্রিয়ায় ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিব ড. ইউসেফ বিন আহমদ আল-ওথাইমিন বলেন- কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পুরো বাংলাদেশের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশাল নেয়ামত। এটি রহমতের চিহ্নও। কেননা এই সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের বিশাল উন্নতি করার অপার সুযোগ রয়েছে। এসময় তিনি পুরো সৈকতের আয়তন, উপভোগ্য বিষয়, পর্যটকসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান।

জানা গেছে, ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমীর নেতৃত্বে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা ওআইসি মহাসচিবের নিরাপত্তা জোরদার করেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, পুলিশ সুপার একেএম ইকবাল হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (প্রটোকল) বাকি বিল্লাহসহ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)’র ন্যোশনাল প্রোগ্রাম অফিসার সৈকত দাশসহ , কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ও বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিমানে করে কক্সবাজারে আসেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কুতুপালং নিবন্ধিত ক্যাম্পে গিয়ে পৌঁছেন। এরপর তিনি অনিবন্ধিত রেহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করেন।