আতিকুর রহমান মানিক

কক্সবাজার সদরের জালালাবাদ ইউনিয়নে ঈদগাঁও নদীর বেড়ীবাঁধের ভাঙ্গন মেরামত শেষপর্যায়ে রয়েছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই কাজ সম্পূর্ন হবে বলে জানা গেছে। এতে ইউনিয়নবাসী ও কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে।

ইতিপূর্বে পরপর দুই দফা প্রবল বন্যায় ঈদগাঁও নদীর রাবারড্যামের ১০০ মিটার ভাঁটিতে জালালাবাদ অংশে পূর্ব লরাবাগ ও ছাতিপাড়ার মধ্যবর্তী স্হানে বেড়ীবাধ বিধ্বস্ত হয়ে ৪/৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়। ভাঙ্গা অংশ দিয়ে বন্যার পানি ঢুকে ঈদগাঁও-ফরাজী পাড়া সড়ক ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানান, মাসখানেক আগে প্রথম দফা বন্যায় উক্ত পয়েন্টে বেড়ীবাঁধ বিধ্বস্ত হলে কয়েকদিন পর ইউ পি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে ভাঙ্গন মেরামত শুরু হয়। ভাঙ্গন পয়েন্টে গাছের বল্লী পুঁতে প্রতিরক্ষা বলয় সৃষ্টি করার পর শত শত শ্রমিক লাগিয়ে প্রায় ১৫ হাজার বালির বস্তা ও বিপুল পরিমান মাটি ফেলে বেড়ীবাঁধের ভাঙ্গা অংশ মেরামত করা হয়। কিন্তু টানা ভারীবর্ষনজনিত প্রবল পাহাড়ী ঢলের তোড়ে গত ২৫ জুলাই উক্ত পয়েন্টে আবারো ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে বেড়ীবাঁধের প্রায় ১৩০ মিটার বিধ্বস্ত হয়। আর এতে আবারে প্লাবিত হয় আগের জনপদগুলো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এর কয়েকদিন পরেই ভাঙ্গা বেড়িবাধ মেরামতে ঝাঁপিয়ে পড়েন চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ। প্রতিদিন শতাধিক শ্রমিক লাগিয়ে ভাঙ্গা অংশে মাটি ফেলা হয়। সপ্তাহব্যাপী সকাল সন্ধ্যা অবিরাম কাজশেষে এখন বেড়ীবাঁধ মেরামত প্রায় শেষপর্যায়ে রয়েছে। প্রতিদিন ভাঙ্গনস্হলে সারাদিন অবস্হান করে কাজ তদারকি করেন চেয়ারম্যান রাশেদ। কাজ তদারকি আনুষাঙ্গিক অপরাপর বিষয়ে শ্রম দিয়েছেন ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাইফুল হক। এভাবে কাজ চললে আর কয়েকদিন পরেই বেড়িবাধ মেরামত সম্পূর্ন হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে ভাঙ্গন মেরামতের ফলে স্বস্তি ফিরে এসেছে প্রান্তিক চাষী, কৃষক ও গৃহস্হদের মধ্যে। জেলার সর্ববৃহৎ শষ্যভান্ডার “ধৎকা বিল” জালালাবাদ ইউনিয়নের মধ্যখানে অবস্হিত। এ ভাঙ্গনের ফলে বিলের হাজার হাজার একর ফসলী জমিতে আউশ মৌসূমে ধানচাষ অনিশ্চয়তায় পড়েছিল। এখন বেড়ীবাঁধ মেরামত হওয়ায় ধানচাষে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। জালালাবাদ পূর্ব ফরাজী পাড়ার এরশাদ উল্লাহ জানান, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিলজুড়ে পুরোদমে ধানরোপন শুরু করবেন কৃষকরা।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও  জালালাবাদ ইউ পি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ জানান, বেড়ীবাঁধের প্রায় ১৩০ মিটার দীর্ঘ ভাঙ্গন মেরামত এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে, আর কয়েকদিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে। ঈদগাঁও-ফরাজী পাড়া সড়কের বিধ্বস্ত অংশে জনচলাচলের সুবিধার্থে অস্হায়ী সাঁকো নির্মান করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে শীঘ্রই উক্ত সড়ক মেরামতের ব্যবস্হা নেয়া হবে।