সিবিএন প্রতিবেদক :
ইয়াবা পাচার রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। ৩ মাসের মধ্যে কক্সবাজার দিয়ে ইয়াবা পাচার অর্ধেকে নামিয়ে আনার টার্গেট হাতে নিয়ে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। ইয়াবা পাচার রোধে তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা পাচারকারীদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। এরজন্য ৫০ জনের একটি ‘টপ ফিফটি’ তালিকাও করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
‘টপ ফিফটি’ তালিকায় আছে, টেকনাফ স্থলবন্দরের এক বিতর্কিত ব্যবসায়ী, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যের পুত্র, এমপি বদির নিকট আত্মীয়, সরকার দলীয় কয়েকটি সংগঠনের নেতা, টেকনাফ বিএনপি ও যুবদলের দুইজন নেতা ও শাহপরীর দ্বীপ করিডোরের দুই ব্যবসায়ী, তিনজন বিতর্কিত জনপ্রতিনিধি ও মিয়ানমারের দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী।
সারাদেশে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে যেই ইয়াবা পাচার হয় তার সিংহ ভাগ আসে কক্সবাজার দিয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মে মাসে কক্সবাজারের জনসভায় ইয়াবা ব্যবসা রোধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন। ইয়াবা পাচারকারীরা যতো শক্তিশালী হোক তাদের দমন করার হবে বলে ওই জনসভায় ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মূলত প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পর থেকেই ইয়াবা পাচার রোধে কাজ শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিটি সংস্থা।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকারি কয়েকটি সংস্থা সমন্বিতভাবে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে টেকনাফের শীর্ষ ৫০ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকা করে। এই ৫০ জনকে দমন করা গেলে ইয়াবা পাচার অনেকটাই রোধ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানিয়েছেন, কক্সবাজার দিয়ে ইয়াবা ব্যাবসা দমনে পুলিশ বিশেষ অভিযানে নেমেছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে কক্সবাজার দিয়ে ইয়াবা পাচার অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে পুলিশ টার্গেট ঠিক করে কাজ শুরু করেছে।
তিনি আশা করেন কোন বাধা না আসলে যেই ভাবে পুলিশ কাজ শুরু করেছে তাতে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া সম্ভব।