সিবিএন
ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর দীর্ঘ দিন ধরে জিইয়ে থাকা বিরোধ অবশেষে অবসান হয়েছে। গঠিত হয়েছে ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন পরিচালনা পরিষদ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মিরাজুল ইসলাম উকিল, এস.এম. মাসুদুর রহমান ও ডিটিও (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ আবদুল মান্নানের স্বাক্ষরে গত ২৪ জুলাই কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন হয়।
এর আগে ১৫ জুলাই জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার চেম্বারের বিবাদমান তিনটি পক্ষকে নিয়ে সমন্বয় সভা হয়।
শহরের বাজারঘাটাস্থ আবু সেন্টারের মালিক আবু মোরশেদ চৌধুরী (খোকা) সভাপতি, কলাতলী সায়মন বীচ রিসোর্টের মোঃ সাবেদ উর রহমান সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং মেসার্স আলী এন্টারপ্রাইজের সৈয়দ মোহাম্মদ আলীকে সহ-সভাপতি করে আগামী এক বছরের জন্য কমিটি অনুমোদন হয়।
একই সঙ্গে কক্সবাজার চেম্বারের নামে আলী আর্কেড মার্কেট ও হোটেল কোহিনুরে দুইটি গ্রুপের আলাদা সাইনবোর্ড অপসারণ করার নির্দেশ দেয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-বাম/টিও-১/সি-২/অংশ-৪/৩৬০।
কমিটির পরিচালকেরা হচ্ছেন- আবদুল খালেক, মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, উদয় শংকর পাল মিঠু, রইচ উদ্দিন, ইমদাদুল হক, সাইফুল হক, রবীন্দ্র বিজয় বড়য়া, মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম হেলালী, মাহামুদুল করিম মাদু, নাজমুল হক চৌধুরী, শফিকুর রহমান, মোঃ ইয়াহিয়া (এম.ডি), শিবলুল করিম, আজমল হুদা, হাসান মেহেদী রহমান, স্বদিপ কুমার শর্মা, আবিদ আহসান সাগর ও এইচ. এম নুরুল আলম।
২০১০ সাল থেকে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর নামে পৃথক তিনটি কমিটি ছিল। আলাদা অফিস থেকে তাদের কর্মকান্ড পরিচালিত হতো। এ নিয়ে বেশ বিভ্রান্তি ছিল। অবশেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিটিও (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ আবদুল মান্নানকে আহবায়ক করে তিন জন প্রতিনিধি দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির তদন্ত শেষে সুপারিশমতে নতুন করে পরিচালনা পরিষদ অনুমোদিত হয়েছে।
নতুন কমিটির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী (খোকা) জানান, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এর কমিটি নিয়ে দীর্ঘ দিন সামান্য বিরোধ থাকলেও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সমাধান হয়। গত ১৫ জুলাই জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানকল্পে সমন্বয় সভা হয়। এতে ব্যবসায়ীদের উন্নয়ন ও স্বার্থ সংরক্ষণে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়। ঘোষিত নতুন কমিটি ব্যবসায়ীদের কল্যাণে কাজ করবে। এক্ষেত্রে সবমহলের সহযোগিতা কামনা করেন কক্সবাজার চেম্বারের নতুন সভাপতি।