বিবিসি :

বাংলাদেশের খুলনা জেলার একজন প্রতিমন্ত্রীর বিতরণ করা ছাগল মারা যাবার খবর সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করায় ওই প্রতিমন্ত্রীর মানহানি হয়েছে – এমন এক মামলায় স্থানীয় একজন সাংবাদিককে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় দৈনিক প্রবাহ পত্রিকার সাংবাদিক আব্দুল লতিফ মোড়লের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন স্থানীয় আরেক সাংবাদিক সুব্রত কুমার ফৌজদার।
তবে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এর পর বিবিসি বাংলাকে বলেন, এ ঘটনায় তার মানহানি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন না।
‘সেটা আমি মনে করি না। আমার কাজ ঠিক থাকলে এতে কিছু আসে যায় না।’
বিবিসি বাংলার মিজানুর রহমান খানকে তিনি বলেন, তিনি যে ছাগল দিয়েছিলেন সেটা মারা যায় নি।
“আমি তো সবগুলি ছাগল দেই নাই। আমি যেটা দিয়েছি সেটা মারা যায নাই । মারা গেছে অন্য একটা ছাগল।”
এরকম একটা মামলায় একজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করাটা কতটুকু যৌক্তিক হয়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী মি. চন্দ বলেন, “যৌক্তিকতা .. এ বিষয় সম্পর্কে আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বলেছি। যারা মামলা করেছে তারা তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে করেছে – সেটা তো তাদের ব্যাপার। আমি তো কিছু বলতে পারবো না। ”

আইনি সুযোগ থাকলে এটা ‘মিট আপ’ করার ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারেন বলে তিনি আভাস দেন। ‘লিটিগেশন মিটে গেলেই সবচেয়ে ভালো’ -বলেন তিনি।

স্থানীয় দৈনিক প্রবাহ পত্রিকার সাংবাদিক আব্দুল লতিফ মোড়লকে গতকাল গভীর রাতে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান মি. মোড়লের মেয়ে মেহনাজ রেজা মিম্মা।

তিনি বিবিসি বাংলাকে টেলিফোনে বলেন, “রাত আড়াইটার দিকে আমার আব্বুকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ছিল, আমাদের ডুমুরিয়া থানার ওসি ছিল, আরও ২০/৩০ জনের মত মানুষ এসেছিল। দেয়াল টপকে তারা ঢোকে। তারা আমার রুমেও জোরে জোরে নক করে। আমি জানতে চাই ওনাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। তখন আমাকে বাজে-ভাবে বলা হয় কোথায় নিয়ে যাচ্ছি সেটা আপনার মায়ের কাছ থেকে জেনে নিয়েন”।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রতিমন্ত্রী মৎস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ছাগল বিতরণ করেছেন সেই ছাগল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা গেছে। সকালে ছাগল বিতরণ করছে, রাতেই মারা গেছে। আব্বু সেই খবরের লিংকটা শুধু শেয়ার করছে। এজন্য আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি শুধু এটুকুই জানি”।