প্রেসবিজ্ঞপ্তি :

 তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারার পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় এবং নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা না দেয়ায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর অপসারণ দাবি করেছে বিএফইউজে ও ডিইউজসহ সাংবাদিকরা । এই ন্যায় সংগত আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন (বনপা) ও জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ। বনপা’র কেন্দ্রীয় সভাপতি শামসুল আলম স্বপন ও সাধারন সম্পাদক ইঞ্জি. রোকমুনুর জামান রনি এবং জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক অধ্যাপক আকতার চৌধুরী যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, মিডিয়া বান্ধব সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু কালো আইন ৫৭ ধারা রাখার পক্ষে জোরালো ভুমিকা রাখায় সাংবাদিকদের শত্রুতে পরিনত হয়েছে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী ৫৭ ধারা বাতিলের পক্ষে ইতিবাচক —মনোভাব ব্যক্ত করেছেন সেখানে তথ্যমন্ত্রী সুকৌশলে সরকারের সাথে সাংবাদিকদের দুরুত্ব সৃষ্টি করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত । মন্ত্রীপরিষদ সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেছেন ৫৭ ধারা নাকি সরকারের রক্ষাকবচ । তার এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বনপা ও জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ বলেন, ৫৭ ধারা নয়, আল্লাহর রহমত, জনগণ ও সাংবাদিকদের দোয়া-সমর্থনই সরকারের রক্ষা কবচ। অতীতের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য নেতৃবৃন্দ তথ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। উভয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সারা দেশে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) আন্দোলনের সাথে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করার জন্য বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন —(বনপা) ও জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের সকল ইউনিটকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ দিকে গত রবিবার সচিবালয়ে পশ্চিম পাশে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) উদ্যোগে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি থেকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু’র অপসারন দাবি করা হয়। অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তৃতায় বিএফইউজের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের সম্মান দিতে চান, অন্যদিকে তথ্যমন্ত্রী চান ৫৭ ধারা বহাল থাকুক। এটা কি প্রধানমন্ত্রীর চেতনার সঙ্গে গেল? মনজুরুল আহসান বুলবুল তথ্যমন্ত্রীর অপসারণ দাবি করে বলেন, এটা —প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নয়। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, যদি আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা না করা হয় এবং ৫৭ ধারা বাতিলের ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে তথ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান ও খবর বর্জন করার মতো কর্মসূচি নেওয়া হতে পারে। তবে এটা কবে থেকে হবে, তা পরে ঠিক করা হবে। অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন বিএফইউজের মহাসচিব ওমর ফারুক, সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, বিএফইউজে’র যুগ্ম মহাসচিব অমিয় ঘটক পূলক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র সভাপতি শাবান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিইউজে’র সাবেক সভাপতি কাজী রফিক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক মুরসালীন নোমানী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজান মিয়া, দফতর সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিম আরা হক মিনু, ঢাকা —সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি কেএম শহীদুল হক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ডেপুটি চিফ রুহুল গনি চৌধুরী, ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ জানান, ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া, যশোর, কুষ্টিয়া, কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়ন পৃথকভাবে নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের দাবিতে স্থানীয়ভাবে একই বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেছে।