ডেস্ক নিউজ:

ব্যবসায়ী প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে সুইস ব্যাংকে ৯৬ হাজার কোটি টাকা রাখার বিষয়ে অস্বচ্ছ হিসাব দাখিল ও ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ অর্থপাচার (মানিলন্ডারিং) প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে। সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) জাকির হোসেন বাদী হয়ে সোমবার (৩১ জুলাই) গুলশান থানায় মামলাটি করেছেন। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান একথা জানিয়েছেন।

মামলাটি তদন্ত করবেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এর আগে গোয়েন্দা অনুসন্ধানে মুসার বিরুদ্ধে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা একটি রেঞ্জ রোভার গাড়ি ভুয়া কাগজ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন, বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেন ও মানি লন্ডারিং অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।
গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রিন্স মুসা লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত আছে। কিন্তু তিনি এই টাকার কোনও ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাননি। কয়েকবার নোটিশ দিলেও তিনি তা জমা দেননি।

এদিকে, প্রিন্স মুসা ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ভুয়া বিল অব অ্যান্ট্রি প্রদর্শন করে একটি রেঞ্জ রোভার গাড়ি বেনামে রেজিস্ট্রেশন করেন। কিন্তু শুল্ক গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই গাড়ি আনার ক্ষেত্রে তিনি ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়েছেন। ২১ মার্চ তার গুলশানের বাড়িতে শুল্ক গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে রেঞ্জ রোভারটি আটক করেন।

গাড়িটি কারনেট সুবিধায় আনা হয়েছিল। তবে এই সুবিধার অপব্যবহার করে এবং ব্যক্তিগতভাবে তিনি আর্থিক লাভবান হওয়ার লক্ষ্যে ভুয়া শুল্ক পরিশোধের কাগজ দিয়ে গাড়িটি ব্যবহার করছিলেন।

এর আগে এবিষয়ে ঢাকা কাস্টম হাউসে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির সংযোগ থাকায় তা পৃথকভাবে তদন্তের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুরোধ করা হয়।