শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

২০ টাকা ঘাট পারাপারের শুল্ক না দেওয়ায় সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ আহত হয়েছে ৮ জন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ৩০ জুলাই বিকাল ২ টায় ঘটনাটি ঘটে ঈদগাঁও বাসস্টেশনস্থ দরগাহ পাড়া সড়কের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে। আহতরা হলেন সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের উত্তর নাপিতখালীর মৃত নুরুল আলমের পুত্র নাছির উদ্দীন (৫০), বশির আহমদ (৪০), শাহিন মোর্শেদ (২২), নুরুল আলমের ২ স্ত্রী মেহেরুন্নেছা ও রোকেয়া বেগম। নাছির উদ্দীনের স্ত্রী মনজুরা বেগম ও তার পুত্র নাফিস (১৫) ও মৃত ছুরত আলমের পুত্র স্থানীয় ব্যবসায়ী আক্কাস উদ্দীন আহত হয় বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গেল বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া সড়কে লক্ষাধিক টাকা বিনিয়োগ করে কাঠের সাঁকো নির্মাণ করে স্থানীয়রা। এতে অধিকাংশ টাকা দেন স্থানীয় টমটম চালক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সে হিসাবে প্রতি গাড়ী থেকে ১০ টাকা করে পারাপার শুল্ক নির্ধারণ করে। ঐ দিন আহতরা দরগাহ পাড়ায় নাছিরের ছোট বোন রিনার বাসায় দাওয়াত খেতে যাওয়ার সময় তাদের বহনকৃত টমটম ইজি বাইক থেকে লাইন্সম্যান সেলিম উদ্দীন ১০ টাকা শুল্ক দাবী করলে নাছির উদ্দীন তার আপন এক ভাইয়ের প্রভাব দেখিয়ে টাকা না দেওয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় জাফর আলম নামের এক ব্যক্তিকেও ধাক্কা দেন নাছির উদ্দীন। এতে হাতাহাতি হলে উভয়পক্ষকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান অন্যান্য টমটম চালকরা। তাদের কথাও কর্ণপাত না করে নাছির উদ্দীন বারবার ভাইয়ের প্রভাব দেখালে উত্তেজিত হয়ে পড়ে টমটম চালকরা। তাদের সাথে শুরু হয় বাক বিতন্ডা। এক পর্যায়ে লাইন্সম্যানের সাথে দরগাহ পাড়ার ৬/৭ জন ব্যক্তি জড়ো হলে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।

এসময় তাদের উপর্যুপরী আঘাতে একই পরিবারের ৭ জনসহ স্থানীয় এক ব্যবসায়ী আহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা আহতদের উদ্ধার করে ঈদগাঁও ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়। তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ খায়রুজ্জামানের নেতৃত্বে এএসআই মাঈনুদ্দীন, এএসআই মহিউদ্দীন, সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌছে ভিডিও ফুটেজ স্বনাক্ত করে আশপাশ ও কলোনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে দরগাহ পাড়ার ছিদ্দিক আহমদের পুত্র কালা বদা ও মৃত ছুরত আলমের পুত্র আহত আক্কাস উদ্দীনকে আটক করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। আহত নাছিরের ভাই মোঃ বেলাল উদ্দীন জানান, ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে আটককৃত আক্কাছ উদ্দীনের বড় ভাই নুরুল হাকিম নুকী জানান, ঘটনার সামাল দিতে গিয়ে তার ভাইকেও আটক করা হয়েছে। সে ঘটনার সাথে কোনভাবেই জড়িত নয় এবং নাপিতখালী থেকে এসে দরগাহ পাড়ার কয়েকটি ঘরবাড়িও ভাঙচুর করেছে বলে দাবী করেন তিনি।

পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ খায়রুজ্জামান খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ২জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান। মামলা দায়ের হলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।