চবি প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ৩০ জুলাই বেলা ১১ টায় চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর-এর প্রতিনিধি হিসেবে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এম.পি.। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভাষণ দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। এতে ধন্যবাদ সূচক ভাষণ দেন চবি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।

শিক্ষামন্ত্রী স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আন্তরিক-প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমাদের এ তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির ভবিষ্যত কর্ণধার। তাদের মাধ্যমেই আগামীদিনে রচিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।

মন্ত্রী বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক, শিক্ষা-সংস্কৃতি-ক্রীড়া, সামাজিকসহ বিভিন্ন সূচক আলোকপাত এবং এর একটি বাস্তব চিত্র তুলে ধরে বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও গতিশীল নেতৃত্বে বিশ্ব মানচিত্রে উন্নয়ন ও অগ্রগতির যে সফলতার স্বীকৃতি অর্জন করেছে এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আমাদের চাই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত থেকে জ্ঞান-দক্ষতা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা সম্পন্ন সৎ, যোগ্য ও দক্ষ বিশ্বমানের মানবসম্পদ, যাতে তারা যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তাদের পারদর্শীতা প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়।

মন্ত্রী জঙ্গি-সন্ত্রাস ও মাদক ইত্যাদি নেতিবাচক প্রভাব থেকে যুবসমাজকে সচেতন থাকতে আহবান জানান। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকদের জ্ঞান গবেষণা, নতুন জ্ঞান সৃজন এবং নিবেদিত প্রাণে জ্ঞান বিতরণের উদাত্ত্ব আহবান জানান।
তিনি বলেন, গতানুগতিক শিক্ষা নয়, শিক্ষার মূল লক্ষ্য হচ্ছে কর্মদক্ষতা অর্জন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ অবলোকন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সচিব কৃতি মেধাবী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে প্রজন্মের সন্তানদের সৃজনশীল কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হতে হবে। তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি অর্জনে সৎ-দক্ষ মানবসম্পদের কোন বিকল্প নেই। তিনি যে লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন এর সুফল ঘরে পৌঁছে দিতে কৃতি মেধাবী শিক্ষার্থীদের অধিকতর দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান।

উপাচার্য তাঁর ভাষণে আজকের এ মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ও সচিব মহোদয় উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন। এ জন্য মাননীয় উপাচার্য তাঁদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

উপাচার্য বলেন, তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে তাঁর যে অভিলাষ এর সফল বাস্তবায়নে সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অনেকদূর এগিয়ে গেছে। মাননীয় উপাচার্য তাঁর এ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের সকলের কাছ থেকে সার্বিকভাবে যে আন্তরিক সহযোগিতা পাচ্ছেন তা তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ভবিষ্যতেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে তাঁদের সুদৃষ্টি অব্যাহত থাকবে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

শিক্ষামন্ত্রী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগমন করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি’র প্রায় পাঁচশতাধিক চৌকষ ক্যাডেট মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। তাদের এ অনবদ্য পরিবেশনা অবলোকন করে মাননীয় মন্ত্রী মুগ্ধ হন এবং তা’ উপভোগ করেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চ.বি. সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত এবং উদ্বোধনী সংগীত।