আবুল আলী, টেকনাফ :

টেকনাফ হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আবদুল ওয়াহিদ নামে শিশুটির বয়স ২ মাস । সে সাবরাং ইউনিয়নের মন্ডল পাড়ার আবদুর রহমানের ছেলে। শনিবার রাত ৯ টার দিকে টেকনাফ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

শিশুর স্বজনরা জানায় , গত দুই দিন ধরে আবদুল ওয়াহিদের নিউমোনিয়া আক্রান্ত হন। তারই সুত্র ধরে শনিবার সকাল ৮ টার দিকে টেকনাফ হাসপাতালের চিকিৎসক মো. এনামুল হকের কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন। এরপর এ চিকিৎসক শিশুটিকে দেখে তিনি সুস্থ আছেন বলে পরিবারকে জানান। তবুও তিনি শিশুটিকে কিছু নিউমোনিয়ার ওষুধ দেন। পরে তাকে নিয়ে পরিবার ঘরে চলে আসেন। সন্ধ্যায় হঠাৎ করে শিশুর অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে ফের চিকিৎসক মো. এনামুল হকের কাছে আনেন। তিনি শিশুটি শারিরিক অবস্থা ভাল না বলে  কক্সবাজারের রেপার করে দেন। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশুটি জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন তার পরিবার। এসময় জরুরী বিভাগে থাকা উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ইসকান্দার মির্জা শিশুটিকে চিকিৎসক এনামুল হকের দেওয়া ওষুধ গুলো চিকিৎসা দিলে রোগীর অবস্থা আরো অবনতি হয়। এসময় জরুরী বিভাগের চিকিৎসক শোভন দাস উপস্থিত ছিলেন না। পরে ৯ টার দিকে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। চিকিৎসক শোভন দাস বলেন, ‘শিশুটির চিকিৎসায় কোন অবহেলা ছিল না। এটা দূঘর্টনা ছাড়া কিছু না।

শিশুর বাবা মার অভিযোগ, ডাক্তার আমাদের সন্তানকে মেরে ফেলেছে।  যদি সকালে কক্সবাজার নিয়ে যাওয়ার জন্য বলতো হয়তো আজ আমাদের সন্তান বেচেঁ থাকতো। তারা মরে যাওয়ার সময় যখন হয়ছে তখন কক্সবাজার নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন।

টেকনাফ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত (টিএইচ) পরিচালক এনামুলক বলেন, শিশুটি সকালে আমার কাছে নিয়ে আসছিল। তখন শিশুটি সুস্থ ছিল। এরপর রাতে আবারো আমার কাছে নিয়ে আসছিল তখন শিশুটির অবস্থা খারাপ ছিল। এরপর তাকে ওষূধ দিয়ে কক্সবাজারে রেফার করা হয়েছে। এসময় জরুরী বিভাগে মারা যান। তবে শিশুটির চিকিৎসায় কোন গাফলতি ছিলনা বলে দাবি করেন তিনি।