হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :

আটক শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার জামাল হোসেন মেম্বারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী একটি বন্দুক, ৪ রাউন্ড কার্তুজ ও ১৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ। টেকনাফের আলোচিত ও তালিকাভূক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী হ্নীলা ইউপি সদস্য জামাল হোসেনকে ২৮ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রঙ্গীখালী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল। পরে গভীর রাতে তাঁর দেয়া তথ্য অনুযায়ী তাঁর আস্তানায় অভিযান চালিয়ে একটি বন্দুক, ৪ রাউন্ড কার্তুজ এবং ১৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

টেকনাফ ওসি মোঃ মাইন উদ্দিন খান বলেন, ইয়াবা গডফাদার জামাল হোসেন মেম্বারের বিরুদ্ধে ইয়াবা ও অস্ত্র আইনের মামলা ছাড়াও এলাকায় ব্যাপক ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, ২৬ জুলাই রাতের প্রথম প্রহরে টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালীর মকবুল আহমদের পুত্র আব্দুল গফুর (৩২) কে জামাল মেম্বারের পুত্র ইয়াবা গডফাদার শাহ আজম লেদা ভাড়া যেতে বললে সে অস্বীকৃতি জানিয়ে ঘরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর অবৈধ অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জামাল মেম্বারের ছেলে আজমসহ একদল সন্ত্রাসী অটোরিক্সা চালক আব্দুল গফুরের বাড়িতে এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে অপহরণ করে আলীখালীতে নিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছে বেঁধে লাঠি-লোহার রড নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতন চালান। গুরুতর আহত আব্দুল গফুরকে উদ্ধার করে প্রথমে হ্নীলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে টেকনাফ উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেফার করেন। সেখানেও তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এই ব্যাপারে অভিযুক্তদের আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বোরহান উদ্দিন তাকে গ্রেফতার করেন।

টেকনাফ থানার এসআই বোরহান উদ্দিন জানান, জামাল হোসেন বাংলাদেশে অন্যতম শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার। তিনি ও তার ছেলে আজমের বিরুদ্ধে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ অর্ধ ডজন মামলা রয়েছে। তার স্বীকারোক্তিমতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, কার্তুজ ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।