ডেস্ক নিউজ:
জরিপ বলছে, বাংলাদেশের আর সব নেতার চেয়ে জনপ্রিয়তায় অনেক এগিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে গত কয়েক বছরে দেশের সার্বিক উন্নয়নও হয়েছে চমকপ্রদ। কিন্তু ভোটের বাক্সে এর আশানুরূপ প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। তার ওপর আবার তৃণমূলে নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র কোন্দল এবং তাদের ক্ষমতার দম্ভ ও অসংযত আচরণ দলকে আরো পিছিয়ে দিচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং তার আগে ছয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও দ্রুত কোন্দল মেটানোর নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানায়, দলটির স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের এক সভায় শেখ হাসিনা বলেন, সরকার যে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে, তার আশানুরূপ প্রতিফলন ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে কাজ করতে নেতাদের পরামর্শও দেন তিনি।
সূত্রগুলো জানায়, আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সর্বশেষ সভায় ছয় সিটি করপোরেশনে মাঠপর্যায়ের নানা তথ্য নিয়ে আলোচনা হয়। নির্বাচনে জয় পেতে দলীয় কোন্দল বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে সেখানে আলোচনা হয়। শেখ হাসিনা সভায় বলেন, বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের পরও ভোটের রাজনীতিতে তার প্রতিফলন দেখা না যাওয়ার বড় কারণ দলীয় কোন্দল। নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত থাকায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের হারতে হচ্ছে। আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি।
দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার সঙ্গে অন্য কোনো দলের নেতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলে তাঁদের কেউ জিততে পারবেন না। কিন্তু ৩০০ আসনে তো আর শেখ হাসিনা নির্বাচন করবেন না। যাঁরা ভোটে লড়তে চান তাঁদের অনেকের ওপরই সাধারণ মানুষ বিরক্ত। আবার বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ এমন চরমে উঠেছে যে নিজেরা রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে জড়াচ্ছে। এক দল আরেক দলকে জামায়াত-বিএনপি বলে আখ্যা দিচ্ছে। কেউ আবার নিজের পক্ষ ভারী করতে জামায়াত-বিএনপিকে দেদার দলে ঢোকাচ্ছে। আগামী নির্বাচনের আগে এসব সামাল দেওয়া কতটুকু সম্ভব হবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
আওয়ামী লীগের ওই নেতারা জানান, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মাঠপর্যায় থেকে সংগ্রহ করা তথ্য ও জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও এর আগে ছয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ের পথে অভ্যন্তরীণ কোন্দল বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর কর্মকাণ্ড ও আচরণ দলটির জনপ্রিয়তা বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করছে। একাধিক জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার চেয়ে জনপ্রিয়তায় অনেক পিছিয়ে আছে আওয়ামী লীগ। দি ইনডিপেনডেন্ট ও রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি) চলতি বছরের মার্চে এক হাজার পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মধ্যে একটি জরিপ চালায়। ফোনে তাদের মতামত নেওয়া হয়। কিছুদিন আগে তার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, ৭২.৩ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছে, কিন্তু দল হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন রয়েছে মাত্র ৩৬.১ শতাংশের। জরিপ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৪৯.৭ শতাংশ মানুষ এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যে তারা কাকে ভোট দেবে। তবে জরিপটির ফলাফলে দেখা যায়, বিএনপি যেমন আওয়ামী লীগের চেয়ে পিছিয়ে, তেমনি জনপ্রিয়তায় খালেদা জিয়া অনেক পিছিয়ে আছেন শেখ হাসিনার চেয়ে।
জরিপটির ফলাফলে দেখা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার আওয়ামী লীগ তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়াতে পারেনি। আওয়ামী লীগের প্রতি ৩৬.১ শতাংশ মানুষের সমর্থন দেখা গেলেও ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে এ সমর্থনের হার ৩৫.৮ শতাংশ। জরিপে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ৭২.৩ শতাংশ মানুষ; কিন্তু শেখ হাসিনার প্রতি তরুণদের এ সমর্থনের হার ৭১ শতাংশ।
সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একটি অংশের তত্ত্বাবধানে জরিপ পরিচালনা করে থাকে এমন একটি পেশাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত একজন গবেষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে জানান, মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা গেছে, সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের নেতিবাচক মনোভাব তৈরির একটি বড় কারণ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ। বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের মুষ্টিমেয় কয়েকজন ক্ষমতার দম্ভে সাধারণ মানুষের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করে থাকে। এতে মানুষ ক্ষুব্ধ হয়, যা ভোটের ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সর্বশেষ বৈঠকে ভোট বাড়ানোর জন্য মানুষের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা। তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে টিউলিপ সিদ্দিকের দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হওয়ার উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ‘প্রথমবার টিউলিপ অল্প ভোটে জয়লাভ করেছিল। কিন্তু এবার বিপুল ভোটে জয়লাভ করার কারণ সে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। আমাদেরও আগামী নির্বাচনে জয় পেতে হলে বাড়ি বাড়ি যেতে হবে, উঠান বৈঠক করতে হবে। শুধু বড় বড় সভা-সমাবেশ আর মিছিল-মিটিং করলেই চলবে না। ’
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের প্রপাগান্ডা মোকাবেলা, দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন সুষ্ঠু অবস্থায় থাকে সেটি নিশ্চিত করা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এসব বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছি। ’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দলের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ও দেশের মানুষকে যতটা ভালোবাসেন আমরা অন্য নেতারা ততটা পারি না। উপরন্তু নেতাদের কর্মকাণ্ড, তৃণমূলের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতা, ভারসাম্যহীন কথাবার্তা আমাদের জনপ্রিয়তার ক্ষেত্রে কিছুটা নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। আমরা মন্ত্রী, নেতা, এমপিরা যদি শেখ হাসিনার আচরণের ৫০ ভাগও ধারণ করতে পারতাম, তাহলে কাউকেই নির্বাচনে জয় নিয়ে চিন্তা করতে হতো না। আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে জনপ্রতিনিধিদের জনমুখী ও স্বচ্ছ হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। আশা করি, এ সমস্যা অচিরেই কাটিয়ে উঠতে পারব। ’
স্বপন বলেন, ‘জনপ্রিয়তা বাড়াতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে বলেছেন, উঠান বৈঠক করতে বলেছেন। ইতিমধ্যে এটি শুরুও হয়েছে। তবে বর্ষা শেষ হলে এটি ব্যাপকভাবে শুরু হবে। ’
দলীয় কোন্দল প্রসঙ্গে স্বপন বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দল, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবেই। তবে তা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। একেবারে কোন্দলহীন দল স্থানীয় স্বৈরাচারের জন্ম দেয় এবং স্থানীয় নেতারা কর্মীমুখী না হয়ে নেতামুখী হন। ফলে দলে বন্ধ্যত্ব আসে। কিন্তু যেসব এলাকায় কোন্দল প্রকট আকার ধারণ করেছে, সেখানে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। কোন্দল নিরসনে কেন্দ্রীয় তৎপরতা চলমান রয়েছে। ’
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড ও সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শুধু সরকারের উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করে ভোটে জয় পাওয়া যাবে না। সর্বশেষ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। এখানে দলীয় কোন্দল আমাদের মারাত্মক ভুগিয়েছে। অন্য অনেক নির্বাচনেও আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির প্রার্থীরা বিপুল ভোট পেয়েছেন। আমরা গত কয়েক বছরে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত জ্বালাও-পোড়াওসহ নানা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। তার পরও ওরা এত ভোট কিভাবে পায়, তা আমাদের ভাবাচ্ছে। ’
আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানায়, বিগত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার অন্তর্গত ভোটকেন্দ্রগুলোকে ‘টেস্ট কেস’ হিসেবে নেয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু ভোটের ফলাফলে বিএনপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের হতাশ করে। জ্বালাও-পোড়াওসহ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত বিএনপির প্রার্থীর এত বিপুল ভোটপ্রাপ্তি নিয়ে চিন্তায় পড়ে আওয়ামী লীগ। সে সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা একাধিক অনুষ্ঠানে রাখা বক্তব্যে বিএনপি-জামায়াতকে মানুষ কিভাবে ভোট দেয় তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
সূত্রগুলো জানায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণের পরই আওয়ামী লীগ সভাপতি দলীয় নেতাকর্মীদের মানুষের মন জয়ের দিকে গুরুত্ব দেওয়ার জোরালো তাগাদা দিতে শুরু করেন। একই সঙ্গে সংসদ সদস্যদের এলাকায় থাকা ও জনমুখী হওয়ার নির্দেশনা দেন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে প্রচারের কৌশল গ্রহণ ও ভোট বাড়ানোর পথ খোঁজা শুরু হয়। কিন্তু কার্যকর কোনো পথ এখনো বের করতে পারেনি ক্ষমতাসীন দলটি। সর্বশেষ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পরাজয় ক্ষমতাসীনদের দুশ্চিন্তা আরো বাড়িয়ে তুলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতা আরো বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি পেশাদার প্রতিষ্ঠান দিয়ে একাধিক জরিপ চালিয়েছি। সেগুলোর ফলাফলে দেখা গেছে, তৃণমূল পর্যায়ে কতিপয় নেতাকর্মীর ক্ষমতার দম্ভ, অসংযত ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা কমাচ্ছে। দেখা যায়, একটি এলাকায় মাত্র কয়েকজন নেতাকর্মী হয়তো খারাপ আচরণ করে, কিন্তু এর জন্য সরকারের প্রতি অনেক মানুষের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। মানুষ জাতীয় পর্যায়ের উন্নয়ন ভুলে গিয়ে স্থানীয় পর্যায়ের ছোটখাটো সমস্যাগুলোকে বড় করে দেখে। ফলে আমাদের ভোট বাড়ানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। ’
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পরও আশানুরূপ ভোট না বাড়ার কারণ খুঁজতে নানা গবেষণা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন অধ্যাপককে নিয়ে এসেও গবেষণা চালানো হয়েছে। তাঁরা গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, এ দেশে দীর্ঘ সময় ঔপনিবেশিক শাসন থাকায় এখানকার মানুষের মধ্যে শাসকবিরোধী একটি মনোভাব এখনো রয়ে গেছে। জনগণ এখনো শাসকদের পুরোপুরি নিজেদের প্রতিনিধি ভাবতে পারে না। এ কারণে সরকার তাদের জীবনমানের কতটুকু উন্নয়ন করল সেটিকে অগ্রাধিকার না দিয়ে কী দিতে পারল না—সেটিকেই তারা বড় করে দেখে। এ জন্য এ দেশে সরকারে থেকে নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়ানো অনেক কঠিন। ’