সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

সদরের ইসলামপুর নতুন অফিস এলাকায় সরকারী বনভূমি দখল করে নির্মিত জুয়া ও মাদকের আস্তানা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বন্ধ করে অপরাধীদের আইনের কাছে তুলে দেয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বন বিভাগের অফিসে অনুষ্ঠিত বনবিভাগ ও এলাকাবাসীর যৌথ সভায় সর্বসম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় ক্ষোভের সাথে বলা হয়, খুটাখালী শিয়াপাড়া এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জুয়াড়ী ও মাদক ব্যবসায়ীরা ইসলামপুরের ৫ নং ওয়ার্ডভুক্ত জুমনগর এলাকার সরকারী বনভূমিতে অাস্তানা গড়ে দীর্ঘদিন মদ, জুয়াসহ নানা অপরাধকর্ম চালিয়ে আসছে। তাতে এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন হুমকিতে পড়েছে। অপরাধীদের সাথে চকরিয়া থানার কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের যোগ সাজস রয়েছে বলেও অভিযোগ তুলা হয়। অনতিবিলম্বে চিহ্নিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করা হয়।

ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদু রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম।

অতিথি ছিলেন- খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহাদুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ডা: মীর আহাম্মদ হেলালী, ইসলামপুর ইউপি সদস্য ইদ্রীস রানা, ফুলছড়ি বনিবিট কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, ইউনিয়ন অাওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের তরুণ আইনজীবী এস,এম,জসিম উদ্দীন প্রমুখ।

যৌথ সভায় অবৈধ মদ ও জুয়ার আসার উচ্ছেদ করতে গিয়ে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের চকরিয়া থানায় দায়ের করা জিআর মামলা নং ৩৮৯/১৭ মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়।

উল্লেখ্য গত শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপরে নতুন অফিস বাজারের উত্তর পাশের বনবিভাগের জমিতের গড়ে তুলা দুইটি মদ জুয়ার আস্তানা গুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ ও হামলার ঘটনায় ৩ জন মারাত্নক আহত হয়ে। এ ঘটনায় স্থানীয় নিরীহ ১৮ জনকে আসামী করা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিয়াপাড়ার ইমাম শরীফ ,জসিম, পেঠান, এনাম, রশিদ, ফারুক, মিনহাজ, হেলাল,সাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে গুলিবর্ষণসহ সব অপরাধ ঘটে আসেছে। দীর্ঘদিন বাজার এর উত্তর পার্শ্বে (ছাবের মৌলভীর গর্জন গাছ তলা) দুইটি বাসা নির্মাণ করে সেখানে মদ ও জুয়ার আসর বসাতো চিহ্নিত এই চক্র। ওইদিন নতুন অফিস ও কৈলাশেরঘোনা এলাকার অর্ধশতাধিক জনতা ওই আসর ভেঙে দেয়। আস্তানা গুড়িয়ে দেয়ার পরপরই ক্ষুব্দ জুয়াড়ীরা নতুন অফিস বাজারে গিয়ে হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটায়।

সুত্র জানায়, ফুলছড়ি শিয়াপাড়ার ইমাম শরীফের নেতৃত্বে নিয়মিত জুয়া ও মদের আসর বসানো হতো ওই দুইটি বাড়ীতে। বিক্রি হতো ইয়াবাসহ বিভিন্ন মামকদ্রব্য। তাতে জড়িত ছিল স্থানীয় জুমনগর এলাকার চিহ্নিত ১০/১২ জন ওঠতি বয়সী যুবক। আনাগুনা ছিল বিভিন্ন পুরাতন মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়ীদের। আসর দুইটি আরাকান সড়কের পাশে হওয়ায় খুব সহজেই চলতো মাদকদ্রব্যের বিকিকিনি। দূর দূরান্ত থেকে যেতো জুয়াড়ী ও মাদকসেবীরা। আসরে নেতৃত্বদানীরারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস করতো না কেউ। এছাড়া যারা মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের উপর নেমে আসে নির্যাতন, হুমকী, মিথ্যা মামলা ও হয়রানী। চিহ্নিত এই দুইটি ঘরে শুধু মদ ও জুয়ার আসর বসতোনা। এখানে অনেক তরুনী ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে। এখান থেকে নিয়ন্ত্রিন হয় ডাকাতি, চুরি, অপহরণসহ নানা অপরাধকর্ম।