হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়ে বললেন নগর পরিকল্পনাবিদ

প্রথমআলো :
ঢাকা ও চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা মিডিয়ার সৃষ্টি। নগর পরিকল্পনাবিদের আলোচনা থেকে বেরিয়ে এসেছে এ কথাই। বন্যা ও জলাবদ্ধতা এই দেশে চিরকাল হয়ে এসেছে। কিন্তু দেশে ক্যামেরা ফোন ও মিডিয়ার বন্যার কারণে কৃত্রিমভাবে জলাবদ্ধতা লাইম লাইটে এসেছে। ৫৭ ধারার যথাযথ প্রয়োগ হলেই এর থেকে রেহাই মিলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা দক্ষিণে বসবাসরত বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ সলিল চৌধুরী বলেন, ‘পানি জমেছে, এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। বৃষ্টি হলে পানি জমবেই।’ গতকাল হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়ে তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‌‘‌‌জলাবদ্ধতা নিয়ে মিডিয়া বাড়াবাড়ি করছে। প্রকৃতপক্ষে জলাবদ্ধতা বলতে যতটুকু পানি জমা দরকার, ততটুকু পানি জমেনি।’

কতটা পানি জমলে তাকে জলাবদ্ধতা বলা যায়? এ প্রশ্নের কোনো রিপ্লাই দেননি সলিল চৌধুরী। এ সময় তিনি কোমরপানিতে তলিয়ে যান বলে নিশ্চিত করেছে একটি বিশ্বস্ত সূত্র।

ঢাকা উত্তরে বসবাসরত বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ বারি মতলব বলেন, ‘আমরা নদীমাতৃক দেশের নাগরিক। রাস্তায় পানি ওঠায় এত চিন্তিত হওয়ার কী আছে? আমরা কোনো কিছুকেই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারি না। বৃষ্টি হয়েছে, পানি উঠেছে। রোদ উঠলে পানি কমে যাবে। এটাই জগতের নিয়ম।’

পানি পেরিয়ে মানুষ কীভাবে গন্তবে্য পৌঁছাবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি রাগের ইমো পাঠিয়ে বলেন, ‘মানুষ কীভাবে যাবে, তার আমি কী জানি? ঘরে ঘরে গিয়ে তো আমি মানুষকে পার করে দিতে পারি না, তাই না?’

প্রয়োজনে মানুষকে সাঁতারের পরামর্শ দিয়ে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সাঁতার একটি ভালো ব্যায়াম। আমরা যদি একটি নির্মেদ, স্বাস্থ্যকর সমাজ গঠন করতে চাই, তাহলে সাঁতারের বিকল্প নেই।’

জলপথ যে কতটা নিরাপদ এবং পরিবেশবান্ধব, সে বিষয়ে আরও বিস্তারিত বক্তব্য দেন এই বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, ‘নৌযানের যাতায়াত কার্বন নিঃসরণ রোধে ভূমিকা রাখবে।’

তাহলে এভাবেই দেশ তলিয়ে যাবে কি না, জানতে চাইলে মেসেজ সিন করেননি বারি মতলব। ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমার একতলা বাসায় পানি ঢুকে গেছে। এখন আমি কথা বলতে পারব না।’