জাহেদুল ইসলাম, লোহাগাড়া:
লোহাগাড়া উপজেলা দক্ষিণ চট্টগ্রামের একমাত্র ব্যস্ততম শহর। এ শহরের উপর দিয়ে চলে গেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। পর্যটন নগরী কক্সবাজার যাওয়ার একমাত্র চলাচলের রাস্তা। লোহাগাড়ার বটতলি মোটরষ্টেশন মিনি শহর নামে খ্যাতি লাভ করেছে। এই শহরে প্রায় অর্ধ-শতাধিক ছোট-বড় শপিং মার্কেট রয়েছে। রয়েছে প্রায় ৫০টির অধিক ব্যাংক- বীমার অফিস। বটতলী ষ্টেশনে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিকল্পিত ভাবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দু’পাশে ফেলে পরিবেশ দুষণ করছে। যার ফলে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। সড়ক দিয়ে হেটেঁ চলাচল কথা দুরের কথা গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে পথচারিদের। ওইসব ময়লা-আবর্জনা থেকে সৃষ্ট পঁচা দূগর্ন্ধে লোহাগাড়ার পরিবেশ ভারি হয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে সৌন্দর্য্য। লোহাগাড়া বটতলি শহর উন্নয়ন পরিচালানা কমিটি প্রতিমাসে প্রতি দোকান থেকে ৫০-৩০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নিচ্ছে প্রতিনিয়ত। নেই কোন কমিটির কার্যকলাপ। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়িরা। যেনো দেখার কেউ নেই? পরিবেশ অধিদপ্তরেরও কোন খবর নেই। বিশেষ করে লোহাগাড়া আমিরাবাদ বটতলি ষ্টেশনে দিনের পর দিন জমে থাকে ময়লা-আবর্জনা। ওই জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা লোহাগাড়া বটতলি শহর উন্নয়ন পরিচালনা কমিটির স্টেশনের সব ময়লা আবর্জনা লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ ও মোস্তাফিজুর রহমান কলেজের সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কর দু’পাশে ফেলে পরবিশে দূষণ করছে। পঁচা দূর্গন্ধে পরিবেশ দূষনের পাশাপাশি এলাকায় নানান রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। কারো কোন খবর নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন প্রকার অভিযান পরিচালিত হয়নি। মাঝে মধ্যে পলিথিন ও বাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে থাকেন। ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে কোন অভিযান পরিচালনা হয়নি। প্রায় ১ কিলোমিটার সড়কে ময়লার স্তুপ সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, পরিবেশ ধ্বংসের একমাত্র কারণ লোহাগাড়া বটতলী শহরের আর্বজনা যন্ত্রতন্ত্র ভাবে ইচ্ছে মতো মহাসড়কের দু’পাশে রাতের অন্ধকারে ফেলে চলে যাওয়া। লোহাগাড়া সদরের পাশেই মোস্তাফিজুর রহমান কলেজ। ওই কলেজের সামনেই বড় বড় ময়লার স্তুপ। নষ্ট হচ্ছে কলেজের পরিবেশ। শিক্ষার্থীরা বলেন, ময়লার পঁচা গন্ধে কলেজ গেইটের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করা খুবই কষ্ট সাধ্য। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্থক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।