আবদুল মজিদ, চকরিয়া:
চকরিয়ায় কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও সাগরে আমাবশ্যার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়া উপজেলার চিংড়ি-মৎস্য ঘের ও চাষীদের খাজনা করে সরকার নির্ধারিত সুদ মওকুপের দাবী জানিয়েছেন ঘের ইজারাদার ও চাষীরা। এনিয়ে তারা সরকারের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় সাংস, অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চকরিয়ার কাছে ইতিমধ্যে লিখিত আবেদন দিয়েছেন।

চকরিয়া উপজেলার চিংড়ি জোন খ্যাত চরণদ্বীপ মৌজা, রামপুর মৌজা, বহলতলী মৌজা, কাকড়াদিয়া মৌজাসহ বিভিন্ন মৌজায় সরকারী তালিকাভূক্ত ও তালিকা ছাড়া সর্বমোট ৪৫হাজার একর চিংড়ি-মৎস্য জমি রয়েছে। তন্মধ্যে রয়েছে, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের খাস জমি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি, মৎস্য বিভাগের জমি এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সন ভিত্তিক লীজ দেওয়া জমি রয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তালিকা সূত্রে জানাগেছে, চকরিয়ায় ওই বিভাগের ১৬১২৮.২৯ একর চিংড়ি জমি রয়েছে। তন্মধ্যে ৭৫৯জনের নামে সরকারী ইজারা রয়েছে ৮৮৭৭.৮৮ একর এবং ইজারা বিহীন রয়েছে আরো ৭২৫০.৪১একর জমি। এছাড়াও সরকারে অন্যান্য দপ্তরের অবশিষ্ট চিংড়ি চাষী জমি রয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা চিংড়ি খামার মালিক সমিতি লি: এর সভাপতি আলহাজ¦ সেলিম উল্লাহ এমএ, সহসভাপতি নুর মোহাম্মদ পটু, সম্পাদক দলিলুর রহমান ও সদস্য আলহাজ¦ আবদুল হামিদ, নুরুল আলম, শামসু কমিশনারসহ সমিতির অপরাপর সদস্য ঘের ইজারা ও চাষীরা জানিয়েছেন, সাগরে জোয়ারের পানি, মাতামুহুরী নদীতে ওজানের পানি ও ভারি বর্ষনের ফলে সকল মৎস্য ঘের পানিতে ডুবে গিয়ে ঘের ইজারাদার ও চাষীদের অন্তত ১০০ কোটি টাকার উর্ধ্বে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তারা দাবী করেন, চিংড়ি জমি প্রতি একরে ২ হাজার টাকা করে খাজনা পরিশোধের সরকারের নির্দেশনা থাকলেও জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখার ঘের ইজারার নথি উপজেলা ভূমি অফিসে আটকে পরে থাকায় তারা ইজারা নবায়ন ও স্ব স্ব নির্ধারিত খাজনা পরিশোধ করতে পারছেনা। যার কারণে দীর্ঘদিন নথি আটকে গেলে খাজানার পরিমাণ একযোগে বৃদ্ধি হয়ে যাচ্ছে। ঘের ইজারাদার ও চাষীরা জানিয়েছেন, তারা বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নির্ধারিত ১৫% সুদ মওকূপ করার আবেদন করেন। আর নাহলে তারা আরো বেশি ক্ষতির সম্মুখিন হবেন। একই সাথে তারা সাগর কেন্দ্রীয় টেকসই বেড়িবাধ ও স্লুইচ গেইট নির্মাণের দাবী করেন।