সোয়েব সাঈদ, রামু
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল রামু উপজেলার বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন এবং বন্যার্তদের ত্রান সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সাংসদ কমল রামুতে বন্যার পূর্বাভাস পেয়ে ঢাকা থেকে রামুতে ছুটে আসেন। রামুতে পৌঁছেই তিনি দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা পাহাড়তলী এলাকায় পাহাড় ধ্বসে নিহত ভাই-বোন সায়মা ও জিহানকে দেখতে যান। এসময় তিনি শিশু দুটির কবর জেয়ারত করেন। পরে তিনি দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের বন্যা কবলিত চেইন্দা, পাহাড়তলী, কাইম্মারঘোনা, কাটিরমাথা সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ ভূট্টো, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজ এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

একইদিন (মঙ্গলবার) দুপুরে সাংসদ কমল রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাইটুপী বুথপাড়ায় বাঁকখালী নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হওয়া সড়ক দেখতে যান। এসময় সাংসদ কমল ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সহসা নির্মাণের উদ্যোগ নেবেন বলে জানান। এছাড়া তিনি বন্যা কবলিত রামুর বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে বন্যার্ত মানুষের খোঁজ খবর নেন। পরিদর্শনকালে সাংসদ কমল ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রান ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন।

বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে সাংসদ কমল বলেন, ১৫দিনের ব্যবধানে আবারো বন্যায় রামু-কক্সবাজারের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অসংখ্য বসতবাড়ি ও সড়ক এখনো পানির নিচে। দরিদ্র মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে তাৎক্ষনিকভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রান ও নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত ত্রাণ দেয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও অন্যান্য স্থাপনা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সহায়তার হাত বাড়ানোর জন্য বিত্তবান ব্যক্তিসহ সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

পরিদর্শনকালে আওয়ামীলীগ নেতা মাস্টার ফরিদ আহমদ, নুরুল হক, রামু উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নীতিশ বড়–য়া, যুবলীগ নেতা নবীউল হক আরকান, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা শাহাদাৎ উল্লাহ, রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন আহবায়ক ও সাংসদ কমলের ব্যক্তিগত সহকারি আবু বক্কর ছিদ্দিক, রামু উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন এবং আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।