পরিবেশ রক্ষা ও উপকূলের উন্নয়নে কোস্ট ট্রাস্ট্রের সভা

প্রকাশ: ২৬ জুলাই, ২০১৭ ০৯:১৯ , আপডেট: ২৬ জুলাই, ২০১৭ ১০:৪৫

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ও আইউসিএন এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইশতিয়াক উদ্দিন আহমদ।

সিবিএন:
কক্সবাজারের প্রকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও উপকূলের উন্নয়নে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে দেশের অন্যতম বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) কোস্ট ট্রাস্ট। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাতে শহরের কলাতলীস্থ কোস্টের নিজস্ব কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ও আইইউসিএন এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইশতিয়াক উদ্দিন আহমদ।
কোস্ট ট্রাস্ট্রের নির্বাহী পরিচালক এম. রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় কক্সবাজারের প্রকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও উপকূলের উন্নয়নে মতামত ব্যক্ত করেন- পল্লি কর্মসংস্থান ফাউন্ডেশন (বিকেএসএফ) এর পরিচালক (গবেষণা) ডক্টর তাপস কুমার বিশ্বাস, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ আলী কবির, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর সভাপতি মুহম্মদ নুরুল ইসলাম, দৈনিক রূপালী সৈকতের সম্পাদক ফজলুল কাদের চৌধুরী, এক্সপাউরুলের প্রধান নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার কানন পাল, হেলপ কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম, কক্সবাজার নিউজ ডট কম (সিবিএন) এর বার্তা সম্পাদক ইমাম খাইর প্রমুখ।
সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ও আইইউসিএন এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইশতিয়াক উদ্দিন আহমদ বলেন, সরকারের জমি না থাকলে উন্নয়ন কিভাবে হবে? কোথায় জমি আছে তা বের করতে হবে। বন বিভাগের উন্নয়নে সরকারের অর্থের কোন অভাব নেই। নতুন বনভূমি সৃষ্টির পরিকল্পনা ও সরকারী জমি রক্ষার বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। না হলে আগামী দিনে কক্সবাজারে বসবাস করা কঠিন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বন রক্ষায় বৃহৎ আকারের আন্দোলন শুরু করতে হবে। সেটি প্রয়োজনে কক্সবাজার থেকে হোক। আমরা আগে অনেক বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখেছি। কিন্তু এরকম পাহাড় ধস দেখিনি। প্রকৃতিতে হাত দেয়ায় এখন পাহাড় ধসে মানুষ মারা যাচ্ছে। অধিক প্লাবন হচ্ছে। বিষয় নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। কক্সবাজারকে বাঁচাতে হবে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ আলী কবির বলেন, বিভিন্ন নামে বেনামে কক্সবাজারের বনের জায়গা বন্দোবস্তি নিয়ে নেয়া হচ্ছে। ঝিলংজা মৌজায় প্রায় আড়াই হাজার একর বনভূমির মধ্য থেকে বিএস জরিপে ১০০ একরও পাওয়া যাবেনা। তিনি বলেন, হাইকোর্টের আদেশ পেয়েও বহুল আলোচিত ৫১ একর বিষয়ে কিছুই করা যাচ্ছেনা। আদালতের সার্টিফাইড কপি হাতে পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কোস্ট ট্রাস্টের প্রকল্প সমন্বয়কারী মকবুল আহমেদ এর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে কোস্টের বিভিন্ন প্রকল্প, কাজের অগ্রগতি ও আগামীর পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।
পৃথক কনটেন্টে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন করেন কোস্ট ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক শওকত আলী টুটুল ও প্রোগ্রাম অফিসার এস.এম ইকবাল হোসেন। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন টীম লিডার জাহাঙ্গীর আলম।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে কোস্ট ট্রাস্ট্রের নির্বাহী পরিচালক এম. রেজাউল করিম চৌধুরী কক্সবাজার এর প্রকৃতিকে ধরে রেখে কিভাবে আরো বেশী উন্নয়ন করা যায়- সেজন্য সবমহলের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেন। তার ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে সভা সমাপ্তি হয়।