১ম দফায় বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার পর থেকে কেন জানি নিজের মধ্যে বৃষ্টিভীতি কাজ করত।রাতে বৃষ্টি আসলেই ঘুমাতে পারতামনা শত চেষ্টার পরেও,মনে হত এই বুঝি আবার অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট হিংস্র পাহাড়ী ঢল এসে পুরু ইউনিয়ন লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে।শত প্রতিকূলতার মধ্যেও সরকারি বিভিন্ন দফতরে দৌড়াদৌডি করে ভাঙ্গা বেড়িবাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে পুন:নির্মাণ করার কাজে হাত দেই,বৃষ্টি বাদল উপেক্ষা করে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টায় কমতি ছিলনা কোন অংশেই ।

ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রায় ৮০% কাজও শেষ করেছিলাম কিন্তু প্রকৃতির নির্মমতায় আবার সেই অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢল গতকাল রাতে আবারও নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধটি ভেঙ্গে পুরু জালালাবাদ ইউনিয়নকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে আবারও পাহাড়ী ঢলের করাল গ্রাসে আমার প্রাণের জন্মভূমি পানি নিচে ভাসছে ।

কক্সবাজার সদরের জালালাবাদের চিত্র।

যে বৃষ্টিভীতি আমাকে ঘুমাতে দিতোনা কালরাত বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের পর থেকে বৃষ্টিভীতি আমার মনে আর কাজ করছেনা কারণ এখন আর বেড়িবাঁধ নির্মাণের তাড়া নেই কেনোইবা থাকবে যেখানে বেড়িবাঁধই নেই সেখানে বৃষ্টিভয় আমাকে কি করতে পারবে ? বৃষ্টি হলেও প্রাণের জন্মভূমি জালালাবাদ পানির নিচে থাকবে না হলেও পানির নিচে থাকবে কারণ নদীর স্রোত আর জালালাবাদ তো এখন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে ।

কোনটা নদী কোনটা আমার জন্মভূমি জালালাবাদ বোঝা তো বড়ই মুশকিল । আজ রাতে বৃষ্টির রিমঝিম শব্দটা হয়তো ভালই উপভোগ্য হবে ।
এরপরেও বিশ্বাস হৃদয়ে বৃষ্টি কমলেই দ্বিগুণ উদ্যম নিয়ে একমাত্র ইউনিয়ন রক্ষা বাঁধ টির আবার পুন:নির্মাণ কাজ শুরু করব । আল্লাহ সহায় ।

-কক্সবাজার সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান
ইমরুল হাসান রাশেদ –এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া।