খালেদ হোসেন টাপু, রামু :

রামুতে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে আবারো বন্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলার দুইলাখ মানুষ আবারো পানিবন্দি। বাঁকখালীর খালের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার ভোররাত থেকে প্রবল বর্ষণে ফতেখাঁলকুল, গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, কাউয়ারখোপ, জোয়ারিয়ানালা, দক্ষিণ মিঠাছড়ি, ঈদগড় ও রাজারকুল ও খুনিয়া পালং ইউনিয়নের বেশির ভাগ ঘর বাড়ি, রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে ডুবে যায়।

এদিকে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি, মরিচ্যা সড়ক, টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কসহ প্রায় শতাধিক রাস্তা বন্যায় ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রামুর ঐতিহ্যবাহি ফকিরা বাজারও ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। বর্তমানে বাজারে বেঁচাবিক্রি বন্ধ আছে।

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাবিবুর রহমান জানান, জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে রামু বাঁকখালীর পয়েন্টে নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বাঁকখালীর নদী তীরবর্তীসহ বিভিন্ন প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও বেড়ি বাঁধ।

গর্জনিয়া চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, বাঁকখালীর উজানী ঢলে সেতুর সংযোগ সড়ক তলিয়ে গিয়ে আবারো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং ইউনিয়নের এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসনার মো. শাহজাহান আলি জানান, ভারী বৃষ্টিপাতে রামু উপজেলায় বন্যার পরিস্থিতি নাজুক। এগার ইউনিয়নের প্রায় ২ লাখ মানুষ আবারো পানি বন্দি। পানিবন্দি মানুষদের কে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে এবং তাদের তৎক্ষানিকভাবে শুকনো খাবার ও পানীয় বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি আরও টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে ২ শিশু ও ২ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। নিহত ও আহত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।

রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম জানান, ভারি বর্ষনে আবারো ১১টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সমুহ বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বন্যায় ক্ষেত খামার, বিভিন্ন ধমীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবে যায়। বানবাসিদেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। পানিবন্দিদেরকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।