আতিকুর রহমান মানিক :
কক্সবাজার সদরের উপকূলীয় পোকখালী ও ইসলামপুর ইউনিয়নের চিংড়ি চাষী ও কাঁকড়া চাষীরা চরম ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছেন। পরপর কয়েকবার বন্যা ও উচ্চমাত্রার সামুদ্রিক জোয়ারে প্রজেক্টের বেড়ীবাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে আহরনযোগ্য চিংড়ি ও কাঁকড়া সাগরে বেরিয়ে যাওয়ায় এখন মাথায় হাত দিয়েছেন চাষীরা।

প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, গত রমজান মাসের প্রথমার্ধে ঘূর্ণিঝড় মোরা’র সময় জলোচ্ছাসে অধিকাংশ ঘেরের বেড়িবাঁধ মিলিয়ে যায়। বিধ্বস্ত এসব বাঁধ নিজ খরচে মেরামত করে আবারো কাঁকড়া ও চিংড়ি পোনা ছাড়েন চাষীরা। কিন্তু গত ঈদের পরে প্রলয়ংকরী বন্যায় আবারো ক্ষতিগ্রস্হ হয় চাষঘের। সে থেকে অধিকাংশ ঘেরে জোয়ার ভাঁটা চলছে। চাষীরা জানান, গতকাল ও আজ অতিবর্ষনজনিত পাহাড়ী ঢলে আবারো নতুন নতুন ঘের প্লাবিত হয়েছে। এতে চাষীরা পথে বসার উপক্রম হয়েছে। পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীর চিংড়ি চাষী হান্নান মিয়া জানান, তার এলাকার মাঝের ঘোনা, কাটাখালী, বার ডইল্যা, বিরাশি একর, দক্ষিন ঘোনা, কাঁটাঘোনা ও বোরাকসহ বিভিন্ন ঘের ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে। একই এলাকার কাঁকড়া চাষী ফরিদুল আলম বলেন প্রায় দুই লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে কাঁকড়া চাষ করার পর এখন ঘেরের বেড়ীবাঁধ বিলীন হয়ে আহরনযোগ্য সব কাঁকড়া বেরিয়ে গেছে। ইসলামপুর ইউনিয়নের পশ্চিম খাঁনঘোনার কাঁকড়া চাষী জিয়াউল হক ও গিয়াস উদ্দীন জানান, বন্যা ও জোয়ারের পানিতে ঘের প্লাবিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন সাইজের আহরনযোগ্য কাঁকড়া ঘের থেকে বেরিয়ে গেছে। ফলে তাদের বিপুল পরিমান বিনিয়োগ অনিশ্চয়তায় পড়েছে।