সম্প্রতি কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি কক্সবাজার ইউনিট নিয়ে প্রকাশিত সংবাদগুলো আদৌ কোনো সত্যতা নেই। এসব সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও গভীর ষড়যন্ত্রমুলক। মূলত একটি অসাধু চক্রটি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে না পেরে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছে। আমরা এসব সংবাদের জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে আমাদের ব্যাখ্যা: সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোরায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কক্সবাজার। কিন্তু রেডক্রিসেন্ট ঢাকা অফিস কক্সবাজারের পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দেয়নি। আমাদের কঠোর দাবির প্রেক্ষিতে লোক দেখানো কিছু চিড়া, গুড়, মোমবাতি ও দিয়াশলাই দেয় তারা। এসব নামমাত্র ত্রাণগুলো তা সরাসরি ঢাকা থেকে কমিটি করে বিতরণ করা হয়েছে। এসব ত্রাণ সামগ্রী ওই কমিটি ক্রয় করেছে। এতে কক্সবাজারের ইউনিটির কোনো ধরণের হাত ছিলো না। এগুলো সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে টোকেন দিয়ে বিতরণ করা হয়েছে।

যেহেতু এগুলো আপদকালীন খাবার, তাই উপকারভোগীদের যাচাই-বাছাই করে কার্ড প্রণয়ন করে চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে কার্ডগুলো দিয়ে ওইসব ত্রাণগুলো বিতরণ করা হয়। এসব ত্রাণ বিতরণ আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। এতে কোনো অনিময়ম ইউনিটির পরিলক্ষিত হয়নি।
পেকুয়ার উজানটিয়া, রামুর কচ্ছপিয়া, গর্জনিয়া, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, শামলাপুর, কক্সবাজার সদরের সমিতির পাড়া, খুরুস্কুল, পোকখালী, জালালাবাদ, চৌফলদন্ডীতে এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এগুলো রেডক্রিসেন্টের বিধিবদ্ধ ত্রাণ নয়, এগুলো আপদকালীন তাৎক্ষণিক খাবার হিসেবে দেয়া হয়। মোরায় ক্ষতিগ্রস্তরা যেন তাৎক্ষণিক উপকৃত হয়।

তবে প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, ঢাকা হেড অফিস কক্সবাজারের ক্ষতিকে দেখিয়ে জেনেভায় আপিল করে যে অনুদান পেয়েছে  এই টাকার এক’শ ভাগের একভাগও ত্রাণ বিভাগ কক্সবাজারকে সহযোগিতা করেনি।  এজন্য আমরা বিভিন্ন ভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছি।
মোরায় কক্সবাজারের যে ক্ষতি হয়েছে তা সরকারের ডিআরও ফরমসহ রেড ক্রিসেন্ট অফিসের প্রেরণ করা হয়। তারপরও এ পর্যন্ত পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়নি। উপরন্তু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘পপুলেশন মুভম্যান্ট’র মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার ত্রাণ দেয়া হয়। সেখানে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে। ‘পপুলেশন মুভম্যান্ট’-এ নিয়োগকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাদ দিয়ে ভাড়া করা এমআরও কর্মকর্তাদের দিয়ে কাজ করানো হয়। এই হলো আসল চিত্র।

আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, কিছু সংখ্যক সংশ্লিষ্ট অসাধু লোক অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে রেডক্রিসেন্ট কক্সবাজার ইউনিটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ওই চক্রটি কোমর বেঁধে নামে ষড়যন্ত্রমূলক কাজ করছে। ২০১৩ সালে রিকভারি প্রজেক্টের যাদের বিরুদ্ধে ইউনিট মামলা করেছে মূলত তারাই এই ষড়যন্ত্র করছে। কার্ডসহ আটক করা ওই আত্মসাতের মামলাটি এখন বিচারের শেষ পর্যায়ে। তাদের গভীর ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও ইউনিটি অবস্থান থেকে নড়বে না।

নিবেদক
রেডক্রিসেন্ট কক্সবাজার ইউনিটির কর্মকর্তাবৃন্দ