(প্রিয়.কম) এবার ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে বাবার বিরুদ্ধে অমানুষিক নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী।

আহমেদ ফারিয়া নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ করা ভিডিওটিতে মেয়েটির দাবি, তার বাবার নাম ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি মিরপুর একটি স্বনামধন্য রেস্তোরাঁর ডিরেক্টর। ১০ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের এই ভিডিওটিতে মেয়েটি তার ওপর তার বাবার চালানো বিভিন্ন সময়ের নির্যাতনের বর্ণনার কথা জানান।

ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটি ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়েছে ২১ জুলাই মধ্য রাতে। ভিডিওটি এরই মধ্যে দেখেছেন ৩ লাখ মানুষ।

তিনি বলেন, আমার বাবার নাম ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। মিরপুর জিনজিয়ানের ডিরেক্টর। তিনি আমাকে ছোট বেলা থেকেই অনেক মারছে। উঠতে বসতে গালি গালাজ করছে। সে আমার গলা পাড়া দিয়ে ধরছে। আমি মরে যেতাম।……… সে আমাকে গোসল করে দেয়ার সময় আমার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ স্পর্শ করেছে……………।

আপলোডকৃত ভিডিওর ক্যাপশনে মেয়েটি লিখেছেন, আমার বাবা, যার হওয়া উচিত ছিল আমার গাইড, আমার রক্ষক তিনি দিনের পর দিন, বছরের পর বছর আমাকে মৌখিকভাবে ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে এবং আমাকে প্রায় শেষ করে দিয়েছে। তিনি বারবার আমাকে পিটিয়েছেন, বার বার আমাকে লাথি মেরেছেন, আমি উঠে দাঁড়াতে পারি নাই, খেতে পারি নাই! আজ এতটাই তীব্র হয়ে উঠেছে যে, আমি লুকিয়ে আছি। আমার পিতা আমার খোঁজ করছেন, তাই আজ এই ভিডিও আপলোড করতে বাধ্য হলাম যাতে তিনি আমাকে মেরে ফেলতে না পারেন। জাস্ট বাঁচতে চাই আমি।

এদিকে ভিডিওটি প্রকাশকারী অ্যাকাউন্টের ব্যবহারকারীর সঙ্গে এখনো কোনো যোগাযোগ করা যায়নি।

 

আইনজীবীর সহায়তা নিলেন বাবার হাতে নির্যাতনের শিকার সেই তরুণী

(প্রিয়.কম) ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে ‘পিতার বিরুদ্ধে অমানুষিক নির্যাতনের’ অভিযোগকারী তরুণী আহমেদ ফারিয়া একজন আইনজীবীর সহায়তা নিয়েছেন।

২২ জুলাই শনিবার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ তথ্য জানান।

আইনজীবীর সাহায্য নেওয়ার কথা জানিয়ে ওই তরুণী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আপনাদের সকলের সহযোগিতা পাবার আশ্বাস আর পাশে এসে দাঁড়ানোতে আমি কিছু হলেও শক্তি পাচ্ছি। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমি ইতোমধ্যেই একজন আইনজীবীর সহায়তা গ্রহণ করেছি এবং আইনজীবী আমার বাসায় উকিল নোটিশ প্রেরণ করেছেন।’

আইনজীবী গ্রহণের বিষয়ে তরুণীর স্ট্যাটাস

তিনি আরও লেখেন, ‘উকিল নোটিশ পেয়ে আমার বাসার পরবর্তী বক্তব্য শুনে আমি আইনজীবীর পরামর্শ মতো পরবর্তী পদক্ষেপে এগোবো।’

এর আগে ২১ জুলাই মধ্যরাতে আহমেদ ফারিয়া ফেসবুকে ১০ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও  প্রকাশ করেন।  তাতে তার ওপর তার বাবার চালানো বিভিন্ন সময়ের নির্যাতনের কথা জানান।

ভিডিওটিতে তরুণীটি দাবি করে বলেন, আমার বাবার নাম ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। মিরপুর জিনজিয়ানের ডিরেক্টর। তিনি আমাকে ছোট বেলা থেকেই অনেক মারছে। উঠতে বসতে গালি গালাজ করছে। সে আমার গলা পাড়া দিয়ে ধরছে। আমি মরে যেতাম। সে আমাকে গোসল করে দেয়ার সময় আমার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ স্পর্শ করেছে…

প্রকাশিত ভিডিও’র প্রেক্ষিতে আহমেদ ইরাম নামে একটি ছেলের ফেসবুক আইডি থেকে আরেকটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়।

ভিডিওটি শুনতে ছেলের ছবির ওপর ক্লিক করুন। 

ভিডিওটিতে ছেলেটি নিজেকে ভুক্তভোগীর ভাই হিসেবে দাবি করে বলেন, তার বোন যা বলেছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। এবং তার বোন নেশাগ্রস্ত হয়ে এসব বলেছেন। সে (তার বোন) অনেকদিন থেকেই নিখোঁজ এবং এ বিষয়ে মিরপুর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।

ভাইয়ের এমন দাবিতে তরুণীটি তার সর্বশেষ স্ট্যাটাসে বলেন, আমাকে যারা তিরষ্কার করেছেন আমার ভাইয়ের করা ভিডিও দেখে সবাইকে অনুরোধ করব- দয়া করে আমি যে অভিযোগ এনেছি সেইগুলো শুনুন এবং এর সাথে কী বক্তব্য দিয়েছি মিলিয়ে দেখুন। আমার ভাই আমাকে বলছে যে আমি ড্রাগ অ্যাডিক্টেড কারণ আমি ঘরের দরজা, জানালা, লাইট অফ করে বসে থাকতাম। আমার দরজায় কোনো লক ছিল না, এমনকি কোনো ছিটকিনিও ছিল না। আমার রুমে যে কেউ আসতে পারত, যেতে পারত।

সর্বশেষ তরুণীটি তার স্ট্যাটাসে দাবি করেন, তরুণীটির পরিবারের লোকজন নিজেদের সম্মান বাঁচানোর জন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলছেন।

এদিকে এ বিষয়ে তরুণী ও তার ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও অপর প্রান্ত থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।