চকরিয়া প্রতিনিধি:

চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নে প্রপার কাকারায় মাতামুহুরী নদীতে ফের ওজানের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীর ভাঙ্গন রক্ষায় স্কেভেটার গাড়ী দিয়ে নদীতে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন রোধে প্রচেষ্টা চলছে। গতকাল ২১জুলাই বিকেল ৪টার দিকে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত ওসমান ও চকরিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুল মজিদ। নদীতে বালির বস্তা দেয়ার কারণে স্থানীয়রা অনেকটা ঝুকি থেকে মুক্তি পাচ্ছেন বলে মনে করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান জানিয়েছেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রানালয়ের একশত মেট্রিকটন খাদ্য শষ্য বরাদ্দের বিপরীতে সদ্য নির্মিত বেড়িবাঁেধর কারনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বন্যার তান্ডব থেকে রক্ষা পেয়েছে নদীর তীর এলাকায় বসবাসরত কাকারা ইউনিয়নের অন্তত ১০ হাজার জনসাধারণ। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিনে নদীর তীর এলাকাটি এতদিন অরক্ষিত থাকলেও সদ্য নির্মিত বেড়িবাঁধটির কারনে এলাকার হাজারো জনবসতি ও বিপুল পরিমাণ আবাদি জমির সুরক্ষা নিশ্চিত হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন জানিয়েছেন, নদীর তীর এলাকাটি বন্যার ঝুঁিকর কবলে পড়ার কারনে বিশেষ আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রানালয় ২৬শত মিটার আয়তনের বেড়িবাঁধটি নির্মাণের জন্য একশত মেট্রিকটন খাদ্য শষ্য বরাদ্দ পান। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে বেড়িবাধের নির্মাণ কাজ শুরু করে একই মাসের শেষ সপ্তাহে কাজটি টেকসই ভাবে সম্পাদন করা হয়েছে। ইতিপূর্বে ওই এলাকায় টেকসই বেড়িবাধ নির্মাণ ও জিওসি বালির বস্তা দিয়ে বাধ রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে প্রায় সাড়ে ২৮লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এসব কাজ সম্পাদন হলে কাকারার মানুষ বন্যা থেকে পরিত্রাণ পাবে বলে আশা করেন।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, সঠিক সময়ে বেড়িবাঁধটি নির্মাণের ফলে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভারী বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ঠ বন্যার তান্ডব থেকে কাকারা ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবার রক্ষা পেয়েছে। পাশাপাশি নদী ভাঙ্গন থেকে মুক্ত হয়েছে বেড়িবাঁধ লাগোয়া নদীর তীর এলাকার অন্তত ১০-১২টি গ্রামের মানুষ।