শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

প্রায় ২ বছর হয়ে গেল। এখনো শুরু হয়নি বাঁশঘাটার ভেঙ্গে পড়া ফুটব্রীজের নির্মাণ কাজ। ঈদগাঁও নদীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাঁশঘাটা পাকা সেতুটির নির্মাণ কাজ এবছরও শুরু হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে জনমনে। গত ছয় মাস আগেই এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আজ কাল করে এভাবেই ঝুলে আছে। এ নিয়ে ব্রীজ দিয়ে যাতায়াতকারী ঈদগাঁও, ইসলামাবাদ, পোকখালী, ইসলামপুর সহ ৪ ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। বাঁশঘাটা সেতু আর গোমাতলী সড়কের ভিত্তি প্রস্তর একসাথে হওয়ার কথা ছিল। গোমাতলী তথা কবি নুরুল হুদা সড়কের সংস্কার কাজের উদ্ভোধন করে কাজ চলছে আজ প্রায় মাস দুয়েক ধরে।
জেলা পরিষদের এক সদস্য জানান, জেলার একই সাথে টেন্ডার হওয়া ব্রীজের কাজ শুরু হয়ে এখন প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু কেন, কি কারণে ব্রীজটি হচ্ছে না তা জানে না কেউ। বর্ষা মৌসুম আসার আগেই ব্রীজটি নির্মাণ করা না গেলে চরম ভোগান্তিতে পড়বে দু’পাড়ের যাতায়াতকারী লাখো মানুষ। বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে দূর্ঘটনা। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি ঘোষণা দিয়েছিলেন গত এক মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু করবে। এখনো ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় স্থানীয়রা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জুন মাসে ভারী বর্ষণ ও উপর থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বাঁশঘাটা ঈদগাঁও নদীর উপর নির্মিত সেতুর উত্তর পাশের্^ প্রায় ৪০ মিটার ভেঙ্গে পড়ে যায়। সে ঈদগাঁও বাজার, ইসলামাবাদ সংযোগ সেতুটি এখনো পুনঃনির্মাণ না করায় ঈদগাঁও, জালালাবাদ, ইসলামাবাদ, গোমাতলী সড়কে বাজার এলাকা থেকে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে ৪ ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতকারী ছাত্রছাত্রীসহ লাখো মানুষ। গুরুতর অসুস্থ কোন রোগীকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঈদগাঁও বাজারে নেয়ার রাস্তা নেই। ফলে ঈদগাঁও বাজারের সাথে দ্রুত যোগাযোগের জন্য ঈদগাঁও নদীর উপর বাঁশঘাটা সেতু দ্রুত নির্মাণ এখন সময়ের দাবী হয়ে দাড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি শীঘ্রই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আবারো যোগাযোগ করে টেন্ডারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান।