মহসীন শেখ:

সম্প্রতি কক্সবাজার জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা। প্রতিদিন ১৫/২০টি মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা যেন নিত্য নৈমত্তিক বিষয় হয়েছে দাড়িয়েছে। সক্রিয় রয়েছে মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটে রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক সদস্য। চোরের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, সরকারী কর্মকর্তা ও প্রবাসী সহ সকল প্রকার পেশাজীবি মানুষ। তবে মাঝে মধ্যে কিছু সংখ্যক চোর পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও দেখা যায় তাদের অধিকাংশই সম্ভান্ত পরিবাবের বকে যাওয়া সন্তান। আটকের কয়েক মুহুর্তেই আইনশৃংখলা বাহিনীর হাত থেকে চোরকে ছাড়িয়ে নিতে মোটা অংকের মিশন নিয়ে তদবির শুরু করেন অবৈধ কর্মকান্ডে আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়া রাজনৈতিক নেতা সহ প্রভাবশালীরা। তাই ওসব অপরাধীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু মোটর সাইকেল চুরি নয় এই সিন্ডিকেট সদস্যরা ইয়াবা ব্যবসা নানা অপরাধেও জড়িত থাকায় তাদের অনেকেই রাতারাতি কৌটিপতি বনে নিজের আখেরকে বদলানোর ঘটনায় বিভিন্ন এলাকায় জনমনে দেখা দিয়েছে রহস্যজনক ভূমিকা। তবে মোটর সাইকেল চোরদের আটকে পুলিশ সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকলেও অব্যাহত চুরির ঘটনায় গাড়ি মালিক ছাড়াও জনমনে আতংক সৃষ্টির পাশাপাশি আইনশৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটছে বলে দাবি সচেতন মহলের। পাশাপাশি চুরি হওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধারে পুলিশের কাছে অভিযোগ অথবা মামলা করলেও অধিকাংশ মোটর সাইকেল উদ্ধার হয়নি বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। চোর সিন্ডিকেটের অধিকাংশ সদস্য অধরা বলেও সূত্রের দাবি।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরাজুল হক টুটুল বলেন, মোটর সাইকেল চুরি রোধে পুলিশ সবসময় মাঠে রয়েছে। এলক্ষ্যে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের অতিরিক্ত পাহারা। শুধু মোটর সাইকেল নয় যেকোন অপরাধ দমনে জেলা পুলিশ সজাগ রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রনজিত বড়–য়া জানান, মোটর সাইকেল চোরদের অচীরেই আটক করতে মাঠে জোরালোভাবে কাজ করছে পুলিশের বিশেষ টিম।

এদিকে বৃহষ্পতিবার(২০ জুলাই) বিকালে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অপারেশন অফিসার আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে সাহসী অভিযানে চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করতে গিয়ে কক্সবাজার শহরের শীর্ষ মোটর সাইকেল ছিনকারী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাশেল ওরফে ইমন খানকে(৩৪) আটক করেছে পুলিশ। সে শহরের মধ্যম বাহারছড়ার জয়নাল আবেদীনের পূত্র। ওসময় ধৃত চোরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালালে অভিযানে নেতৃত্বদানকারী অপারেশন অফিসার আব্দুর রহিম সহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার অপারেশন অফিসার আব্দুর রহিম জানান, বুধবার দিবাগত রাতে জেলার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আলী এন্টারপ্রাইজের মালিকের একটি মোটর সাইকেল তার নিজ বাড়ি থেকে চুরি হলে সিসি ক্যামরার ভিড়িও চিত্র দেখে চোরকে সনাক্ত করে পুলিশ। ঘটনায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মো: আব্দুল্লাহ্ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যার কক্সবাজার সদর থানা মামলা নং- ৭/১৭, জিআর মামলা নং-৭৪০। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহষ্পতিবার চোরাইকৃত একটি মোটর সাইকেল চোরকে আটকে তার মধ্যম বাহারছড়া বাড়িতে শীর্ষ মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেট প্রধান রাশেলকে আটকে অভিযান চালালে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিনি সহ অভিযানে থাকা কক্সবাজার সদর মড়েল থানার উপ পরিদর্শক যথাক্রমে- ওমর, জাবেদ, আতিক ও সহকারী উপ পরিদর্শক নজরুল আহত হন। ওসময় সন্ত্রাসী রাশেলকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যান্য হামলাকারী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ধৃত মোটর সাইকেল সিন্ডিকেট প্রধান রাশেল সহ পুলিশের উপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রাশেল মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় তার দোষ স্বীকারের পাশাপাশি তার সাথে জড়িত অন্যান্যদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য দিয়েছে। তার স্বীকারোক্তি মতে চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের একটি বিশেষ টিম অভিযানে নেমেছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

পুলিশ সূত্র জানায়, আটক মোটর সাইকেল সিন্ডিকেট প্রদান রাশেলের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে কক্সবাজার শহর ও শহরতলী ছাড়াও জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অব্যাহত অভিযানে নামবে পুলিশ। এতে দ্রুতই মোটর সাইকেল চুরি বন্ধ হবে বলেও দাবি করেছে সূত্রটি। তবে এতে সকলের আন্তরিক সহযোগীতাও কামনা করেছে জেলা পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানায়, জেলাজুড়ে বেশ কিছু মোটর সাইকেল চোর সক্রিয় রয়েছে। যারা এখনও কৌশলে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে মোটর সাইকেল চুরি অব্যাহত রেখেছে। তাদের মধ্যে বিশেষ করে কক্সবাজার শহরের সাজিদ হোসেন, বৈদ্যরঘোনা এলাকার সালাহ উদ্দিন, পাহাড়তলীর সঞ্জয় বড়–য়া, টেকপাড়ার বাপ্পি, বাহারছড়া এলাকা থেকে গতকাল ধৃত মো: রাশেল ওরফে ইমন খান সহ তার সিন্ডিকেটের অন্তত ১৫ জন সদস্য, নুনিয়াছড়ার মো: করিম, লিংক রোড় মুহুরী পাড়ার মামুন, বিজিবি ক্যাম্প এলাকার সোলাইমান প্রকাশ সালমান, কক্সবাজার সিটি কলেজের পার্শ্ববর্তী এলাকার আমীরে, রামু উপজেলার শ্রীকুল, মন্ডল পাড়া ও চা বাগান এলাকার মোটর সাইকেল সিন্ডিকেটের প্রধান মোস্তাক, রুবেল ও চিংক, মহেশখালী উপজেলার নতুন বাজার এলাকার শীর্ষ মোটর সাইকেল চোর মৃত দুদু মিয়ার ছেলে মোক্তার মিয়া (৩৬) ও চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা রিনার বাপের বাড়ি আবদুল মালেকের পুত্র নাজমুল হুদা রিপন (৩০) নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধিক চোর সক্রিয় রয়েছে।

তবে এ সিন্ডিকেটের অধিকাংশ সদস্যই বর্তমানে কারাগারে। অন্যান্যদের অবিলম্বে আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরের বাহারছড়ার এলাকার বাসিন্দা ও পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে তার একটি মূল্যবান মোটর সাইকেল ও এলাকায় বসবাসকারী শেখ জসিমের পূত্র রানা’র মোটর সাইকেল, জাহেদুল ইসলামের একটি, ডাক্তার সৈয়দ মারুফুর রহমানের একটি, একই এলাকায় বসবাসকারী শহরের কলাতলীতে অবস্থিত ডায়মন্ড রেস্তোরার মালিকের বাড়ি থেকে একইদিনে ২টি মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার বাসিন্দা এড. আব্দুল কাইয়ুমের একটি, পৌরসভা কর্মকর্তা আজাদ ও তার ছোট ভাইয়ের দুইটি মোটর সাইকেল চুরি হয়। কক্সবাজার পৌরসভার কর্মচারী কাজলের একটি মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে কয়েকমাস পূর্বে। একইভাবে এলাকার ব্যবসায়ী ছানা উল্লাহ আবু’র একটি মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। একইভাবে খুরুশকুল রাস্তার মাথায় অবস্থিত আপন ট্রেডার্সের মালিক আলমের একটি, সমুদ্র সৈকতের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী কাশেম আলীর মূল্যবান মোটর সাইকেল, শহরের পাহাড়তলীস্থ কচ্ছপিয়া পুকুর এলাকার হোসাইন ম্যানশন থেকে একটি, তারাবানিয়ার ছড়াস্থ কমার্স কলেজ রোড় এলাকার বসবাসকারী রড় সিমেন্ট ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলামের একটি, বাজারঘাটাস্থ এডভোকেট ছালামতুল্লাহর ছোট ছেলে রিয়াজ মুহাম্মদ শাকিলের মালিকানাধীন একটি মোটর সাইকেল একই এলাকার সাজ্জাদ ইলেক্ট্রনিক্স’র মালিক নুরুল আজিম ফরাজীর নতুন মোটর সাইকেল চুরি হয় কয়েক মাস পূর্বে, জেলা যুবলীগের সদস্য ইফতেখার উদ্দিন পুতুর লাল রংয়ের পালসার ব্রান্ডের একটি নতুন একটি মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। কয়েকমাস পূর্বে সমুদ্র সৈকত থেকে সুমাটেক ফার্মাসিউটিক্যালস’র কক্সবাজার এরিয়া ম্যানেজার রাশেদুল ইসলামের মোটর সাইকেল চুরি হয়।

এভাবে সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু গাড়ি চুরি হয়েছে। তন্মধ্যে কিছু সংখ্যক উদ্ধার হলেও বেশির ভাগ মোটর সাইকেল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

এছাড়াও গত ২ মাসে ৩ শতাধিক মোটরসাইকেল অভিনব কায়দায় চুরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন, ক্ষতিগ্রস্থ মোটর সাইকেল মালিক উখিয়ার রুহুল্লার ডেবা গ্রামের মুজিবুর রহমান, পশ্চিম ডিগলিয়া গ্রামের মোহাম্মদ ইউনুছ, ঘিলাতলীপাড়া গ্রামের তহসিলদার সেলিম, উখিয়া বাজারের রাসেল সেন, ডেইলপাড়ার সাহাব উদ্দিন ও জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া গ্রামের শহীদুল্লাহ কায়সার।

গত জুন মাসে শহরের বার্মিজ মার্কেট সানাউল্লাহর বাসার গেইটের তালা ভেঙ্গে একটি ১৫০ সিসি লাল রংঙ্গের পালসার চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে। গেল কয়েকমাস পূর্বে রামু উপজেলার ঈদগড়ে সাবেক মেম্বার হেফাজ উদ্দিন মেম্বারের বাড়ি হতে রাত আনুমানিক দুইটার দিকে একটি ডিসকভার চোরি করে নিয়ে যায় চোর সিন্ডিকেট। ওই রাতে ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের ভোমরিয়াঘোনা এলাকার বন প্রহরি দুইজন লোককে দ্রুত গতিতে মোটর সাইকেল চালিয়ে নিয়ে যেতে দেখেছেন বলে জানান ভূক্তভোগীদের। তারপর ঈদগাঁহ ও আশে পাশের এলাকায় খোজ খবর নিয়ে এই পর্যন্ত মোটর সাইকেলের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন মোটর সাইকেল মালিক শাখাওয়াত হোসেন বাপ্পি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ওসব মোটর সাইকেল চুরের দল চোরাইকৃত মোটর সাইকেলের রং এবং সেসিস নাম্বার পাল্টিয়ে কক্সবাজার জেলা ছাড়াও জেলা বাইরে থাকা তাদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করে। তাদের বেশির ভাগ সদস্যরা চোরাই মোটর সাইকেলের বিনিময়ে কৌটি কৌটি টাকার ইয়াবার ক্রয় বিক্রয় করে থাকে। বিশেষ করে ওই সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে টানা গাড়ি(নাম্বার বিহীন) আদান প্রদানে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বেশির ভাগই জড়িত ইয়াবা ব্যবসায়। অন্যান্যদের অধিকাংশই মাদকাসক্ত বলে জানা গেছে। এদের অধিকাংশ সদস্য কক্সবাজার শহর ও উখিয়া টেকনাফের বাসিন্দা। চোরাইকৃত এসব গাড়ি পাচারকালে অসাধু কিছু পুলিশ সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা অবৈধ অর্থের বিনিময়ে সহযোগীতা করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সূত্রমতে, চোরের দল প্রতিটি হিরো হোন্ডা ৪০-৫০ হাজার টাকা, ডিসকোভার বিক্রি করে ৪০-৫০ হাজার টাকা, পালসার লাখ টাকা, পেজার এক থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে। ওসব চোরা গাড়ী তার ইন্ডিয়ান বর্ডার পাচ গাড়ী বলে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে থাকে। আবার অধিকাংশ সময় চুরি করে তাদের গন্তব্যস্থলে নিতে কোন বাধা রয়েছে মনে করলে পার্শ্ববর্তী কোন মোটর সাইকেল গেরেজে তাদের সদস্যদের মাধ্যমে গাড়ির প্রতিটি পার্টস আলাদা করে লুকিয়ে রাখা হয়।

এ সিন্ডিকেটে রয়েছে সুন্দরী রমনীরাও। এসব অপরাধীরা পুঁজিবিহীন এ কারবারে বিপুল অর্থ আয় করায় সুন্দরী নারীদের নিয়ে প্রকাশ্যে বেপরোয়া চলাফেরা, হোটেল মোটেলে আমোদ ফুর্তি সহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রাপ্ত সূত্রমতে, শক্তিশালী মোটর সাইকেল চোরদের চুরির রয়েছে ভিন্ন ধরণ। তারা স্বল্প মূল্যের যেকোন মোটর সাইকেল চুরি করেনা। তারা বেশীর ভাগ ডিস কভার, পালসার, হিরো হোন্ডা, পেজার ও এফজেড সহ নামকরা ব্রান্ডের মোটর সাইকেল চুরি করতে অভ্যস্থ। তাদের চুরির কৌশলও ছিটকে চোর ছেয়ে ভিন্ন। তারা প্রথমে গাড়ি টার্গেট করে। তারপর গাড়ীর মালিকের বাড়ি ও মালিকের কর্মস্থান কোথায় তা জানার জন্য সোর্স মোতায়ন করে। বিশেষ করে টার্গেটকৃত স্থানে থাকা লোকজনের অবস্থান নিশ্চিত করে সুযোগ বুঝে গাড়ী চুরির কাজ সফল করতে সক্ষম হয়। চুরির জন্য নির্দিষ্ট কোন সময়কে তারা গুরুত্ব দেয়না। দিন রাত যেকোন মূহুর্তে তারা তাদের মিশন সফল করে থাকে। এই সি›িডকেট সদস্যদের কাছে চুরি কাজে ব্যবহার করার জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। এসব যন্ত্রদ্বারা তারা অতি দ্রুত সময়ে মোটর সাইকেলে সে যতই শক্তিশালী লক হোকনা কেন তা সহজেই ভেঙ্গে গাড়ি চুরি করতে সক্ষম হয়। তারা গাড়ির লক ভাংতে অন্যান্য যন্ত্রাপাতির পাশাপাশি ব্যবহার করে এসিড। মিশনকালে কোন প্রকার সমস্যায় পড়তে না হয় সে চিন্তা করে উক্ত চোর চিন্ডিকেটে রেখেছে মোটর সাইকেল ওয়ার্কশপের কারিগরদেরও। আবার মিশনকালে যেকোন বাধার মোকাবেলা করতে ধারালো অস্ত্র সহ অবৈধ অগ্নেআস্ত্রও ব্যবহার করে চোরের দল। সিন্ডিকেটে রয়েছে দ্রুত পালিয়ে যেতে দক্ষ চালকও। এসব চালকরা চোঁখের পলকেই দীর্ঘ সড়ক পাড়ি দিতে পারে। যার ফলে চুরি হওয়া গাড়ীর কোন সন্ধান পেতে হিমশিম খেতে গাড়ি মালিক ও আইনশৃংখলা বাহিনীর।