অস্থিতিশীল চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমাদানি করা চাল বাজারজাত করার জন্য ব্যবসায়ীদের সময় বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এখন থেকে এলসি খোলার ৯০ দিনের মধ্যে আমদানিকৃত চাল বাজারে ছাড়তে হবে। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।

দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এলসি খোলার ৯০ দিনের মধ্যে আমদানিকৃত চাল বাজারে ছাড়তে হবে। এই নির্দেশনা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের নির্দেশনা অনুযায়ী, এতদিন আমদানিকারকরা নিজেদের পছন্দ করা সময়ে আমদানিকৃত চাল বাজারে ছাড়তো।

নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণত এলসি খোলার ৯০ দিনের মধ্যে পণ্য দেশে আসে। অনেক ক্ষেত্রে এলসি বাতিলের ঘটনাও ঘটে।

এর আগে গত ১৯ জুন বাকিতে চাল আমদানি করার বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বলা ছিল, ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকলেও চাল আমদানিতে ঋণপত্র খোলা যাবে। চালের বাজারে অস্থিতিশীলতা দূর করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ওই নিদের্শনা অনুযায়ী, চাল আমদানিতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে বিনা মার্জিনে ঋণপত্র খোলার পরামর্শ দেওয়া হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে বাজারে চালের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এ পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ দিকে খাদ্য মজুদ বৃদ্ধিতে ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে এ চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ১৭৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

এর আগে গত মাসে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি দরপত্র ছাড়াই সরকারি সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই মধ্যে ভিয়েতনাম থেকে যে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করছে, তার মধ্যে দুই চালানে মোট ৪৭ হাজার মেট্রিক টন দেশে এসেছে।