বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদর-রামু সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সহিদুজ্জামান বলেন, সমাজে গুণী ব্যক্তিদের অবদানের স্বীকৃতি দেয়াই মহত্বের লক্ষণ। কারো অবদানকে খাটু করে দেখা কাম্য নয়। সাম্প্রতিক বন্যায় গর্জনিয়া ক্ষতিগ্রস্থ খালেকুজ্জামান সেতু পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি সেতুর এপ্রোস রক্ষায় সৈয়দ নজরুলের প্রতি সংহতি জানান এবং এব্যাপারে অবদান রাখার জন্য এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান।

গত একমাস ধরে বৃষ্টি ও ঢলের পানি উপেক্ষা করে রাত দিন পাহারা দিয়ে বাঁকখালী খালের উপর নির্মিত গর্জনিয়া খালেকুজ্জামান সেতুর এ্যপ্রোস সড়ক রক্ষা করেছেন চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম। গতবছর জুনে সেতুর দক্ষিণ পাশের এ্যপ্রোসটি ভেঙ্গে গিয়ে গেল বছর বর্ষায় ভোগান্তি বাড়ে গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ও বাইশারি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের। গত জানুয়ারী থেকে ৪ শত ৩০ ফুট এ্যপ্রোস নির্মাণ করে রাত দিন পাহারা দিয়ে আসছেন গর্জনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
তুমুল বর্ষণের সময় সেতুর এ্যপ্রোসে টংএর উপর সৈয়দ নজরুলের শুয়ে থাকা ছবি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে শিরোনাম হয়েছেন চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানাগেছে, চেয়ারম্যান নজরুলের এই প্রচেষ্টায় তারা খুশী।

সৈয়দ নজরুলের সাথে কথা বলে জানাগেছে, লোক দেখানোর কোন বিষয় নয়। এটা বাস্তব যে, শাহ সোজা সড়কের গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ার বাকঁখালী পয়েন্টে খালেকুজ্জামান সড়কের এ্যপ্রোস ভেঙে গিয়ে এলাকার মানুষ কষ্ট পেয়েছেন। ওই এপ্রোস নির্মাণ করে রাত দিন পাহারা দিয়ে এপর্যন্ত রক্ষা করে আসছি। সৈয়দ নজরুল জানান, এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল এবং উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলমের সহযোগিতায় তিনি ৪ শত ৩০ ফুট এ্যপ্রোস নির্মাণ করেছেন। এজন্য তিনি এমপি কমল ও উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞ। এব্যাপারে অর্ধ কোটি টাকা ব্যয় হলেও জেলা, উপজেলা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন বরাদ্দ তিনি এখনো পাননি। তাঁর প্রবাসী আত্মীয় স্বজন ও জায়গা জমি লাগিয়ত করে জনস্বার্থে তিনি নিজের পক্ষ থেকে ২০ লাখ টাকা মত খরচ করেছেন।

উল্লেখ্য শাহ সোজা সড়কের গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া পয়েন্টে বাকঁখালী নদীর উপর রামু-কক্সবাজার সদরের সাবেক এমপি মরহুম এড. খালেকুজ্জামানের স্মরণে ১৬১ মিটার ‘খালেকুজ্জামন সেতুটি’ নির্মিত হয়। ২০০৩ সালে তৎকালীন রামু-কক্সবাজার সদরের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সহিদুজ্জামান সেতুটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। তৎকালীন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মরহুম আব্দুল মান্নান ভূইয়া সেতুটি উদ্বোধন করেছিলেন। প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে এলজিইডি এই সেতুটির কাজ শেষ করে ২০০৫ সালে।

সাম্প্রতিক বন্যায় গর্জনিয়-কচ্ছপিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে ত্রাণ বিতরণকালে খালেকুজ্জামান সেতুর এ্যপ্রোস রক্ষায় চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুলের পরিশ্রম ও অবদানের কথা জেনে তার সাথে সংহতি প্রকাশ করতে যান সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সহিদুজ্জামান। এসময় তিনি সৈয়দ নজরুলের প্রতি সংহতি জানিয়ে খালেকুজ্জামান সেতু রক্ষায় নানা ধরণের সহযোগিতা ও অবদান রাখার জন্য বর্তমান এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল ও উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দফতরকে এবিষয়ে সহযোগিতা করারও আহবান জানান।
এসময় ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান আরো বলেন, কারো অবদানকে খাটু করে না দেখে স্বীকৃতি দেয়াই মহত্বের লক্ষণ। রামু-কক্সবাজারের কোন কোন জায়গায় সড়ক ও ব্রীজ থেকে নাম ফলক মুছে দেয়া হচ্ছে বলে শুনে তা কাম্য নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।